Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

করোনাভাইরাসের ছবি তুললেন পুণের বিজ্ঞানীরা

করোনা-সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত গোটা দুনিয়া। বিশ্বে আক্রান্ত সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৫০০০-এর কাছাকাছি।

করোনা সচেতনতা। ছবি: পিটিআই।

করোনা সচেতনতা। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০ ০৩:৪২
Share: Save:

দেশে এই প্রথম নোভেল করোনাভাইরাসের ছবি তুললেন পুণের বিজ্ঞানীরা। ‘ট্রান্সমিশন ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি ইমেজিং’ পদ্ধতির সাহায্যে তোলা ছবিটি ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এ প্রকাশিত হয়েছে। গোটা কর্মকাণ্ডের পিছনে রয়েছে পুণের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটউট অব ভাইরোলজি’ (এনআইভি)-র ‘ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি অ্যান্ড প্যাথোলজি’ বিভাগ।

করোনা-সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত গোটা দুনিয়া। বিশ্বে আক্রান্ত সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৫০০০-এর কাছাকাছি। গত ৩০ জানুয়ারি চিনের উহান ফেরত কেরলের এক মেডিক্যাল পড়ুয়ার লালারসে মেলে ভাইরাসটি। ভারতে এটাই ছিল প্রথম করোনা সংক্রমণ। ওই পড়ুয়ার লালারসে পাওয়া ভাইরাসটিরই ছবি তোলা হয়েছে। ছবি পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই নোভেল করোনাভাইরাস বা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সঙ্গে মিল রয়েছে মার্স-কোভ এবং সার্স-কোভ ভাইরাসের। প্রথমটি ২০১২ সালে পশ্চিম এশিয়ায় ‘মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম’ বা ‘মার্স’ ঘটিয়েছিল।

দ্বিতীয়টি ২০০২ সালে ‘সিভিয়ার রেসপিরেটরি সিনড্রোম’ বা ‘সার্স’-এর জন্য দায়ী। আইসিএমআর-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল নির্মল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘করোনা শব্দটি ল্যাটিন, এর অর্থ ক্রাউন বা মুকুট। করোনাভাইরাস পরিবারের সব ভাইরাসের সারা গায়ে মুকুটের মতো স্পাইক থাকে। এদের এমন বিবর্তন ঘটেছে যে অতিথি কোষের একাধিক রিসেপটর (প্রোটিন বা সুগার)-এর জোট বাঁধতে পারে এবং তার পর ওই কোষে ঢুকে সংক্রমণ ঘটায়।’’ নির্মল গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ছবির মাধ্যমে ভাইরাসটির জিনগত উৎপত্তি ও তার বিবর্তন সম্পর্কে জানা যাবে। বোঝা যেতে পারে ভাইরাসটি কী ভাবে পশুর থেকে মানষের দেহে ছড়াল। পাশাপাশি এক জনের
থেকে অন্যের দেহেই বা কী ভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এনআইভি-তে কেরলের পড়ুয়ার লালারস থেকে পাওয়া নমুনার জিন-সিকোয়েন্সিং
করা হয়েছিল।

একই পরীক্ষা হয়েছিল উহানে। ৯৯.৯৮ শতাংশ মিলে গিয়েছে দুই রিপোর্ট। এনআইভি-র ডেপুটি ডিরেক্টর তথা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি অ্যান্ড প্যাথোলজি বিভাগের প্রধান অতনু বসু জানিয়েছেন, ভাইরাসটির নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সেটিকে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ভাইরাসটি ৭৫ ন্যানোমিটার (১ মিটারের ১০০ কোটি ভাগের এক ভাগ) দীর্ঘ। গায়ে গ্লাইকোপ্রোটিন স্পাইক। এটি মানুষের কোষের নির্দিষ্ট কিছু রিসেপটরের সঙ্গেই শুধু জোট বাঁধে। কার্যকরী ভ্যাকসিন দ্রুত আবিষ্কার করতে হলে ভাইরাসটিকে জানা জরুরি। সেই দিক থেকে এই গবেষণা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Pune
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE