Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
National News

তন্দুর মামলা: আড়াই দশকেরও বেশি জেলে বন্দি সুশীল শর্মাকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ

খুন করার পর স্ত্রী নয়না সাহানির দেহ টুকরো টুকরো করে তন্দুরে পোড়ানোর দায়ে জেল হয়েছিল সুশীলের। ১৯৯৫ সালের ঘটনা।

সুশীল শর্মা। -ফাইল ছবি।

সুশীল শর্মা। -ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:২০
Share: Save:

স্ত্রীকে খুন করার দায়ে প্রায় আড়াই দশকেরও বেশি জেলে থাকা প্রাক্তন যুব কংগ্রেস নেতা সুশীল শর্মাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বলল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য, সুশীলকে অর্নির্দিষ্ট কালের জন্য জেলে রেখে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাই সুশীলকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক। খুন করার পর স্ত্রী নয়না সাহানির দেহ টুকরো টুকরো করে তন্দুরে পোড়ানোর দায়ে জেল হয়েছিল সুশীলের। ১৯৯৫ সালের ঘটনা।

এ সপ্তাহের গোড়ায় দিল্লি হাইকোর্টে ৫৬ বছর বয়সী সুশীল জানিয়েছিলেন, তদন্তের সময় থেকে শুরু করে দণ্ডাদেশের পর দু’দশকেরও বেশি সময় তিনি জেলে কাটাচ্ছেন। তাই তাঁর মুক্তির বিষয়টি বিবেচনার আর্জি জানান সুশীল। তার প্রেক্ষিতে আদালত বলেছে, ‘’দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে আসামি (সুশীল শর্মা) জেলে কাটিয়েছে। এটা নৃশংস খুনের ঘটনা। কিন্তু এত দিন ধরে জেল হওয়ায় কি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়নি?’’

তাঁর জেল-জীবনের অবসানের জন্য কারাবাস পুনর্মূল্যায়ন বোর্ডের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন সুশীল। কারণ হিসেবে সুশীল জানিয়েছিলেন, তাঁর মা ও বাবার দু’জনেরই বয়স ৮০ পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁরা অসুস্থ। তাঁদের দেখাশোনা করা দরকার। জেলে তাঁর ভাল আচরণেরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সুশীলের সেই আর্জি কারাবাস পুনর্মূল্যায়ন বোর্ড খারিজ করে দেয়।

এ ব্যাপারে এ দিন আদালতের মন্তব্য, ‘‘খুন খুব নৃশংস বলে বোর্ড সেই আর্জি খারিজ করে দিতে পারে না।’’ দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, অপরাধ যতই জঘন্য হোক, কাউকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জেলে পুরে রাখা যায় না। ‘‘তা হলে তো খুন করলে কোনও অপরাধী কোনও দিনই মুক্তি পাবে না’’, মন্তব্য আদালতের।

আরও পড়ুন- খুন করে স্বামীর দেহের পাশেই রাত কাটালেন, সকাল হতেই অফিস গেলেন স্ত্রী​

আরও পড়ুন- সজ্জনের আর্জি খারিজ, আত্মসমর্পণ করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই​

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহে স্ত্রী নয়না সাহানিকে গুলি করে খুন করেছিলেন সুশীল। তার পর স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে পুড়িয়েছিলেন তন্দুরে।

২০০৩ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল সুশীলের। ২০০৭ সালে সেই রায় বহাল রাখে দিল্লি হাইকোর্ট। কিন্তু পরে ২০১৩-য় সুপ্রিম কোর্ট সুশীলের মৃত্যুদণ্ড মকুব করে দেয়, পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE