গত কয়েক দিনে গির থেকে একাধিক সিংহ-সিংহীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
গির জাতীয় উদ্যানে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল ১১টি সিংহ-সিংহীর। গত কয়েক দিন ধরে গুজরাতের ওই উদ্যান থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা। বন দফতর সূত্রে খবর, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার।
প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য গির জাতীয় উদ্যানকে ইস্ট এবং ওয়েস্ট— এই দুই ডিভিশনে ভাগ করা হয়েছে। গিরের ডেপুটি কনজার্ভেটর (পূর্ব) পি পুরুষোত্তম জানিয়েছেন, মূলত দলখানীয় রেঞ্জের জঙ্গল থেকে ওই সিংহ-সিংহীর দেহ মিলেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, অমরেলি জেলার রজুলার কাছের জঙ্গল থেকে গত বুধবার একটি সিংহীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই একই দিনে দলখানীয় রেঞ্জ থেকে আরও তিনটি সিংহের দেহ মেলে। এ ছাড়া, গত কয়েক দিনে আরও সাতটি সিংহের দেহের খোঁজ মেলে। পুরুষোত্তম বলেন, “ইতিমধ্যেই ওই দেহগুলির থেকে ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য জুনাগড়ের পশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট এখনও মেলেনি।”
বন ও পরিবেশ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাজীব কুমার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে এক সঙ্গে এতগুলি সিংহ-সিংহীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও রাজীব কুমারের দাবি, “প্রাথমিক ভাবে যে তথ্য মিলেছে তাতে মনে করা হচ্ছে যে নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে গিয়ে আটটি সিংহ-সিংহীর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিললেই পশুগুলির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”
আরও পড়ুন: ওড়িশায় আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘দয়া’, বৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়া চলবে এ রাজ্যেও
আরও পড়ুন: নেশায় বাধা, খুন হোমের পরিচালককে
২০১৫-র গণনা অনুযায়ী, গির জাতীয় উদ্যানে ৫২০টি সিংহ-সিংহীর থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে কখনও চোরাশিকার, কখনও বা বৈদ্যুতিন বেড়ার কাছে চলে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া-সহ নানা কারণে ২০১০ থেকে ২০১৫-র মধ্যে গড়ে ৬২টি সিংহের মৃত্যু হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে গত কয়েক দিনে একসঙ্গে এতগুলি পশুর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করা উচিত বলে বৃস্পতিবার দাবি করেন রাজ্যসভার সাংসদ পরিমল নাথওয়ানি। তাঁর মতে, ওই সিংহ-সিংহীরা বিষক্রিয়া না বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, নাকি চোরাশিকারের বলি হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা উচিত।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy