Advertisement
০৮ মে ২০২৪

হঠাৎ পদ খোয়ালেন প্রফুল্ল

নিয়ম মেনে সংস্থার নির্বাচন হয়নি, এই অভিযোগে ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলকে সরিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ভেঙে দেওয়া হল কর্মসমিতিও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১২
Share: Save:

কমনওয়েলথ গেমসের দুর্দান্ত সাফল্যের পর দুনীর্তির দায়ে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল সুরেশ কলম়়ডী-কে।

সেই ঘটনার ছ’বছর পরে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের সংগঠক হিসাবে খোদ ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর প্রশংসা কুড়িয়ে দিল্লির ফুটবল হাউসের কর্তারা যখন উদ্বেল, তখন মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই ধাক্কা খেলেন তাঁরা। নিয়ম মেনে সংস্থার নির্বাচন হয়নি, এই অভিযোগে ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলকে সরিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ভেঙে দেওয়া হল কর্মসমিতিও।

একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ দিন বলেছে, ‘‘২০১৬-র ২১ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ম মেনে হয়নি। ফলে কমিটি অবৈধ। পাঁচ মাসের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন করতে হবে ফেডারেশনকে। এবং সেটা করতে হবে ‘স্পোর্টস কোড’-মেনে।’’ পাশাপাশি ফেডারেশন প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে প্রশাসক হিসাবে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশিকে নিয়োগ করেছে আদালত। তিনিই ফুটবল প্রশাসন দেখবেন। সেখানে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট বা কর্মসমিতির কোনও সিদ্ধান্ত খাটবে না। ফলে আপাতত সচিব কুশল দাশ, আই লিগের সিইও সুনন্দ ধরকে চলতে হবে প্রশাসকের নির্দেশ মেনেই।

দিল্লির বাসিন্দা রাহুল মেহরা জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিলেন বছরখানেক আগে। ২০১৬-এর শেষে প্রফুল্ল পটেল যখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হন, তখন মামলাটি চলছিল। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে তার উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। ফলে নির্বাচন করতে সমস্যা হয়নি ফেডারেশনের। এ দিন আদালতের রায় জানার পর কর্তারা হতভম্ব। ঠিক কোন কারণে নির্বাচন বাতিল করা হল তা রাত পর্যন্ত জানতে পারেননি ফেডারেশন কর্তারা। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে ফেডারেশন, বলে খবর। কোনও কর্তাই ফোন ধরছেন না।

আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে রাতে একটি বিবৃতি দেওয়া হয় ফেডারেশনের তরফে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘ফিফা, এএফসি-র গঠনতন্ত্র মেনে নির্বাচন হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘স্পোর্টস কোড’-ও মানা হয়েছিল। দিল্লি আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছিলেন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে। তা সত্ত্বেও কেন নির্বাচন বাতিল হল বোঝা যাচ্ছে না। আমরা পুরো রায়ের কপির জন্য অপেক্ষা করছি।’’

শোনা যাচ্ছে, মনোনয়নের প্রস্তাবক সংখ্যা নিয়েই সমস্যা। তবে যেটা দেখার তা হল, এই ডামাডোলে আসন্ন আই লিগ এবং আইএসএল কী ভাবে হয়। দুটোই যে নভেম্বরে শুরু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE