ইংরেজি থেকে দক্ষতা নির্ভর শিক্ষা, কোর থিওরি— কত বিষয় নিয়ে পড়েছেন তিনি। কিন্তু এগুলো যে কোথায় পড়েছেন, কারা পড়িয়েছেন, সেটাই ঠিক মতো বলতে পারছেন না দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি নেতা তথা ছাত্র সংসদের নতুন প্রেসিডেন্ট অঙ্কিভ বৈসোয়া! আরএসএসের এই ছাত্রনেতার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে এখন তোলপাড় ছাত্র রাজনীতি।
এবিভিপি নেতা অঙ্কিভ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নতুন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই তাঁর স্নাতক ডিগ্রি জাল বলে সরব হয় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই। অঙ্কিভের দাবি ছিল, তিনি ভেলোরের তিরুভাল্লুভার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেছেন। এনএসইউআই-এর দাবি, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিঠিতে জানিয়েছে, তাদের কলেজে ওই নামে কোনও ছাত্র পাশ (২০১৩-১৬) করেনি! এর পরেই অভিযোগ ওঠে, যে সময়ে ভেলোরে পড়াশুনা করছেন বলে অঙ্কিভ দাবি করেছেন, সেই একই সময়ে তিনি আবার দিল্লির কলেজ অব ভোকেশনাল স্টাডিজেও ক্লাস করেছেন! ক্লাসের দৈনন্দিন হাজিরা খাতাতে নামও রয়েছে তাঁর! আসলে কোথায় পড়েছেন অঙ্কিভ? বড় গোলমাল আছে বুঝে একটি তদন্ত কমিটি গড়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি। সূত্রের খবর, অঙ্কিভ সত্যিই জাল মার্কশিট দেখিয়ে ভর্তি হলে দোষ এড়াতে পারবে না কমিটি।
বির্তক বাড়িয়েছেন অঙ্কিভও। স্নাতক স্তরে কী বিষয় পড়েছিলেন, সেই প্রশ্ন করলে বলেন, ‘‘অনেক বিষয়।’’ কী সেগুলো? দীর্ঘ নীরবতার পরে সঙ্ঘের ওই ছাত্রনেতা বলেন, ‘‘ইংরেজি, দক্ষতা ভিত্তিক বিষয় এবং কোর থিওরি।’’ বিষয় বলতে পারলেও যাঁরা তাঁকে ভেলোরে তিন বছর পড়িয়েছেন, সেই শিক্ষকদের নাম বলতে পারেননি! তিন বছর যে ভেলোরে ছিলেন, তারও প্রমাণ দিতে পারেননি এবিভিপি নেতা!
জেএনইউ-তে শোচনীয় হারের পরেই এমন বিতর্কে অস্বস্তিতে এবিভিপি। দলের মুখপাত্র মনিকা চৌধরি বলেছেন, ‘‘অভিযোগ যখন উঠেছে, তদন্ত হোক। দোষী হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। কিন্তু ও নির্দোষ হলে যাঁরা মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy