ফাইল চিত্র।
সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তার মধ্যে শুরু হয়েছে প্রায় নজিরবিহীন লড়াই। তার মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, সিবিআইয়ের বিশেষ ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে কোন ছ’টি মামলার তদন্ত করছে ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাই? সিবিআই কর্তাদের একাংশের মতে, সংস্থার ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগকে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ বলে ধরা হবে কি না তা কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে স্পষ্ট করতে হবে।
সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মা ও বিশেষ ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার মধ্যে লড়াই গত কাল চূড়ান্ত রূপ নেয়। অলোক বর্মা শিবিরের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত আস্থানার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা জুন মাসে কর্মিবর্গ দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তার পরে আস্থানা কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে (সিভিসি) অভিযোগ করেন, সিবিআই ডিরেক্টর আইআরসিটিসি কেলেঙ্কারি মামলায় লালুপ্রসাদকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
এর জবাবে গতকাল সিবিআই বিবৃতি দিয়ে জানায়, আইআরসিটিসি মামলায় চার্জশিট পেশ হয়ে গিয়েছে। ডিরেক্টরের সম্মতি ছাড়া তা সম্ভব নয়। ছ’টি মামলায় যে আস্থানার বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে তাও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু কোন কোন মামলায় তিনি অভিযুক্ত তা প্রকাশ করেনি সিবিআই। সরকারি সূত্রের মতে, চারটি ঘটনায় আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্ত চলার সম্ভাবনা।
প্রথমত, স্টার্লিং বায়োটেক কেলেঙ্কারি। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন স্টার্লিংয়ের দুই পরিচালক চেতন জ্যোতিলাল সন্দেসরা, দীপ্তি চেতন সন্দেসরা। আস্থানা সন্দেসরাদের বিরুদ্ধে আয়কর দফতরের তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
দ্বিতীয়ত, বেশ কয়েক জন সন্দেহজনক চরিত্রের সঙ্গে আস্থানার যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম সাংবাদিক উপেন্দ্র রাই। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
তৃতীয়ত, লালুপ্রসাদকে বাঁচানোর জন্য আস্থানা সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
চতুর্থত, এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলার কিছু নথিপত্র প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল। সেই নথিপত্র তাঁকে আস্থানাই সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠতে পারে।
আস্থানা শিবিরের অবশ্য দাবি, কোনও মামলায় আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে না। সিবিআই কর্তাদের একাংশকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সংস্থার ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগকে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ হিসেবে দেখা হবে কি না তা স্পষ্ট করা উচিত ভিজিল্যান্স কমিশনের। কারণ, নিজের পেশাগত সমস্যার মোকাবিলা করতে অলোক বর্মা সংস্থার কর্মী ও অর্থ ব্যবহার করছেন। কংগ্রেসের মন্তব্য, ‘‘এ থেকে সরকারের অচলাবস্থাটা স্পষ্ট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy