রাফাল যুদ্ধবিমান। ছবি- সংগৃহীত।
রাফাল কাণ্ডে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের গন্ধ ছড়িয়ে কংগ্রেসকে বিঁধতে আজ সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। কিন্তু গোটা দিনের ঘটনায় নিজেরাই কোণঠাসা হয়ে পড়ল তারা।
আজ রাফাল বিতর্কের জবাব দিতে প্রথমে মাঠে নামেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। পাকিস্তানের সুরে কংগ্রেসের সরব হওয়া নিয়ে তিনি রাহুলের উদ্দেশে আক্রমণ শানান। এর পরে পালা ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। ঠিক হয়েছিল সাংবাদিকদের শর্ত দেওয়া হবে, নির্মলার কোনও বক্তব্যকে সরকারি ভাবে লেখার জন্য ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু নির্মলা বলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে বিজেপির প্রচার শাখা এসএমএস করে জানায়, এই ব্রিফিং-এর পরে সরকারি ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করবেন নির্মলা। দৃশ্যত ক্ষুব্ধ নির্মলা তা দেখে বলা বন্ধ করে দেন। ইতিমধ্যে দেখা যায় বসে রয়েছেন দুই ফরাসি সাংবাদিক। তাঁদের বার করে দিয়ে ফের বলা শুরু করেন নির্মলা। এরই মধ্যে বিজেপির প্রচার শাখা ভুল সংশোধন করে জানায়— নির্মলা নন, রাফাল নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াত। যা নিয়ে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালার কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী (রাফাল চুক্তির মাধ্যমে) অনিল অম্বানীকে যে সর্বাধিক সহায়ক মূল্য পাইয়ে দিয়েছেন— তা কতটা ন্যয়সঙ্গত, তা বোঝাতে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন। এর পর কি কৃষি নীতি বোঝাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করবেন?’’
রাহুল যে ‘দেশবিরোধী’, তা বোঝাতে এখন মরিয়া বিজেপি। আর তাই আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের কালকের সুরে আজ সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘রাহুল পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন।’’ পরে সেই সেই সুরেই নির্মলা বলেন, ‘‘রাফাল চুক্তিতে আন্তর্জাতিক মাত্রা জড়িয়ে রয়েছে।’’ বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ ছাড়াও কংগ্রেসের সঙ্গে পাকিস্তান ও চিনের যোগসাজস রয়েছে। বায়ুসেনাকে দুর্বল করতে চাইছে কংগ্রেস। যা শুনে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির বক্তব্য, ‘‘নীতি বানাচ্ছে সরকার। চুক্তি করছেন প্রধানমন্ত্রী। আর দোষ
হচ্ছে রাহুলের!’’
একই সঙ্গে টেনে আনা হয়েছে রবার্ট বঢরার ভূমিকা। গজেন্দ্র শেখাওয়াত বলেন, ‘‘রবার্ট বঢরা ও অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির সংস্থা রাফালের বরাত না পাওয়ায় রাহুল ওই চুক্তির বিরোধিতা করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy