কানহাইয়া কুমার।
সামনেই লোকসভা ভোট। তার ঠিক আগে তিন বছর আগের জেএনইউ-কাণ্ডের স্মৃতি উস্কে দিল দিল্লি পুলিশ। সরাসরি নরেন্দ্র মোদী সরকারের আওতায় থাকা দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশদ্রোহিতার অভিযোগে কানহাইয়া কুমার সমেত মোট এগারো জনের বিরুদ্ধে খসড়া চার্জশিট প্রস্তুত করে ফেলা হয়েছে। খুব দ্রুত তা আদালতে পেশ হবে। ঘটনাচক্রে এ দিনই মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের পুলিশ কানহাইয়া কুমারের একটি অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রত্যাহার করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে। পরে শনিবারের সেই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে তারা।
সংসদ হামলায় দোষী আফজল গুরুর ফাঁসির বিরুদ্ধে জহওরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে সরব হন একদল ছাত্র। সেই বিক্ষোভে দেশবিরোধী স্লোগান ওঠে বলে দাবি করে সরব হয় বিজেপির ছাত্র সংগঠন এভিবিপি। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। পুলিশের কাছে কানহাইয়া কুমার, উমর খলিদ, অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক ছাত্রনেতার নামে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনে এভিবিপি। গ্রেফতার হন ওই কানহাইয়া-উমর-অনির্বাণ। পরে জামিনে ছাড়াও পান। মাঝে প্রায় তিন বছর কেটেছে। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ জানিোয়েছে, ওই তিন নেতা-সহ মোট এগারো জনের নামে চার্জশিট প্রস্তুত হয়েছে। বাকি আট জন কাশ্মীরের পড়ুয়া। ওই এগারো জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ রয়েছে।
বাম শিবিরের বক্তব্য, লোকসভার আগে জাতীয়তাবাদের আবেগ উস্কে দিতেই দেশদ্রোহের অভিযোগ তুলছে মোদীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি পুলিশ। আসলে পাঁচ রাজ্যের হারের পরে কোন পথে হাঁটলে দল ভাল ফল করবে, তা বুঝতে পারছেন না অমিত শাহেরা। তবে জেএনইউ-তে কানহাইয়া-কাণ্ডের পরে অন্যতম সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপির ছাত্র সংগঠন যে ধুঁকছে, তা-ও মনে করিয়েছেন বাম নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy