অর্থনীতিবিদ সুরজিত্ ভাল্লা।
২৪ ঘণ্টাও কাটল না, আরও বড়সড় ধাক্কা খেল মোদী সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পর এ বার প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অর্থনীতিবিদ সুরজিত্ ভাল্লা।মঙ্গলবার সকালেই টুইট করে ভাল্লা ইস্তফার কথা জানিয়েছেন।
ভাল্লা টুইট করে বলেন, “১ ডিসেম্বরেই প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টার পার্ট-টাইম সদস্যের পদ থেকেইস্তফা দিয়েছি।”প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টার পদের মূল দায়িত্বে রয়েছেন নীতি আয়োগ-এর সদস্য বিবেক দেবরায়। পার্ট-টাইম সদস্য হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন রথীন রায়, অসীমা গয়াল এবং শমিকা রবি। কিন্তু কেন ইস্তফা দিলেন তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি ভাল্লা।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুথপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাল্লার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন। ওই মুখপাত্র আরও জানান, ভাল্লা অন্য কোনও সংস্থায় যোগ দেবেন বলেই জানিয়েছেন।
সোমবারেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উর্জিত পটেল। কেন্দ্রের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সম্পর্কের টানাপড়েনকেই এই ইস্তফার কারণ হিসেবে ধরা হলেও, উর্জিত কিন্তু জানিয়ছেন ‘ব্যক্তিগত কারণেই’ তাঁর এই ইস্তফা।
আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতা’র সংগ্রামে ইতি, ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে ইস্তফা উর্জিতের
আরও পড়ুন: জোর বাড়ল জোটে, নেতৃত্বে নাম রাহুলেরই
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের আমলে উর্জিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর। তাঁকে যখন গভর্নর করা হয়, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রধান পদে এক জন ‘ইয়েস ম্যান’কে নিয়োগ করলেন নরেন্দ্র মোদী। উর্জিত দায়িত্ব নেওয়ার দু’মাসের মাথায় নোটবন্দি আরও ধারালো করে সমালোচকদের জিভ। এহেন উর্জিতের সঙ্গেও কিন্তু শেষ পর্যন্ত বনিবনা হল না কেন্দ্রের। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্বৃত্ত তহবিল থেকে টাকা চেয়ে চাপ বাড়ছিল। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় নগদের জোগান নিয়েও মতপার্থক্য দেখা দেয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইনের ৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে নজিরবিহীন ভাবে ‘পরামর্শ’ও দেয় কেন্দ্র। এই অবস্থায় ‘স্বাধীনতা’ বজায় রাখার লড়াইটা উর্জিত চালিয়ে যেতে পারেন কি না, সেটাই দেখার ছিল। কিন্তু সোমবার ময়দান ছাড়েন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy