প্রতীকী ছবি।
নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস দেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে অনেক আগেই। এ বার থেকে ভোটপ্রার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টও প্রকাশ্যে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তারা জানাচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহৃত ‘কনটেন্ট’ বা তথ্য-বিবরণও নির্বাচনী আচরণবিধির অঙ্গ।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচার বা অন্য প্রার্থীর সমালোচনা— সব ক্ষেত্রেই সামাজিক মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। মনোনয়নপত্রে সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট জানাতে হবে প্রার্থীকে। কিন্তু তার প্রয়োজন হচ্ছে কেন?
কমিশন সূত্রের দাবি, অ্যাকাউন্ট জানা থাকলে তাতে নজরদারি চালাতে সুবিধা হবে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের তথ্য-বিবরণও নির্বাচনী আচরণবিধির আওতায় থাকবে। ফলে সেখানে থাকা বিভিন্ন পোস্টের উপরে বাড়তি নজর থাকবে কমিশনের।
নেট দুনিয়ার ভুয়ো খবর ঠেকাতে গুগ্ল, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমের সংস্থার উপরেই ভরসা করতে চাইছে কমিশন। গুগ্ল, ফেসবুক জানিয়েছে, ভোট পর্বে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে তারা নজরদারি চালাবে। সে-ক্ষেত্রে ভুয়ো খবর, মানহানিকর কিংবা প্ররোচনামূলক প্রচার বা অশালীন বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রয়োজন অনুয়ায়ী তা ‘ব্লক’ করবে ফেসবুক। অভিযোগ না-এলেও ওই সব ভিডিয়ো, ছবি, বার্তার ‘পোস্ট’ সংশ্লিষ্ট সংস্থা নিজে থেকেই সরিয়ে দিতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপ-ও ফেসবুকের অধীন সংস্থা। ফলে হোয়াটসঅ্যাপের ম্ধ্যমে কোনও প্ররোচনামূলক মন্তব্য বা ছবি প্রকাশ্যে এলে ব্যবস্থা নেবে তারা। সেই বিষয়েও ওই সামাজিক মাধ্যম সংস্থাটি আশ্বস্ত করেছে কমিশনকে।
ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিযোগ জমা পড়ার দিকেও নজর রাখতে পারে কমিশন। তাদের মতে, অভিযোগ এলে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেও অভিযোগ দায়ের করবে কমিশন।
পুলওয়ামার ঘটনার প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট নিয়ে বিতর্ক চলছে। লোকসভা ভোট পর্বে তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে কমিশন প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy