অমিত শাহ এবং রাহুল গাঁধী।
ভোটে হার-জিত থাকেই। হারলেও কর্মীদের মনোবল বাড়াতে পাশে থাকেন সেনাপতি। কিন্তু উত্তর-পূর্বের ফল প্রকাশের আগেই বিদেশে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন রাহুল গাঁধী। তাই নিয়ে আজ কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ দু’জনেই।
দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনের সময়ে রাহুলের ইতালি সফর নিয়ে প্রশ্ন করা হয় অমিতকে। হেসে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘ইতালিতে ভোট হচ্ছে তো! আমি জানি না, হোয়াটসঅ্যাপে দেখলাম।’’ বিজেপি নেতারা বলছেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখুন, সত্যিই রবিবার ভোট ইতালিতে। তবে রাহুল সেখানে ভোট দিতে গিয়েছেন, তা বলছি না।’’ সন্ধ্যায় আক্রমণ আরও ধারালো করলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। ‘বিজয়যাত্রার শিল্পী’ অমিত শাহকে পুরো কৃতিত্ব দিয়ে বললেন, ‘‘বিজেপির সৌভাগ্য, এমন সভাপতি পেয়েছে। একের পর এক নির্বাচন জেতান, দেখে গর্ব হয়। না হলে এমন দলও রয়েছে, যেখানে অনেকে পদের শীর্ষে পৌঁছে যান, কিন্তু কাঁধ ছোট হয়। কংগ্রেসের কাঁধ আগে এত ছোট কখনও হয়নি।’’
আক্রমণের মুখে কংগ্রেসও রে-রে করে উঠেছে। আহমেদ পটেল যেমন বলেছেন, ‘‘দিদিমার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া অপরাধ? ভিত্তিহীন কথা বলা বিজেপির পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, রাহুল ছুটিতে গেলেও দলের নেতাদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছেন। এর আগে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে কেনাবেচা করে গোয়া, মণিপুরে সরকার গড়েছে। মেঘালয়ে বিজেপির সেই খেলা বন্ধ করতে আহমেদ পটেল, কমল নাথ, মুকুল ওয়াসনিককে পাঠিয়েছেন রাহুলই। ফারুক আবদু্ল্লা যোগ করছেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের ফলকে রাহুলের পরাজয় বলা যায় না। তাঁকে সময় দিতে হবে।’’
তবে মুখে বললেও এই সময়ে রাহুলের বিদেশ সফর নিয়ে অসন্তোষ আছে দলেও। অনেকেই বলছেন, ভোটে জেতার যে খিদে নিয়ে বিজেপি লড়ে, কর্মীদের চাঙ্গা করতে রাহুলকেও সেই নেতৃত্ব দেওয়া দরকার। তা না হলে বিজেপিই উল্টে রাহুলকে ‘পার্ট-টাইম’ রাজনীতিক তকমা সেঁটে দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
মোদী এ দিন ব্যঙ্গ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ নিয়েও। বলেছেন, ‘‘পুদুচেরিতে গিয়ে কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর তারিফ করেছি। বলেছি, তাঁকে নিয়ে ভবিষ্যতে কংগ্রেস মাথায় তুলে নাচবে। দেখিয়ে বলবে, কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী এমন হত। না হলে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে তারা (কংগ্রেস) নিজের মনে করে না, মুখ্যমন্ত্রীও মনে করেন না। তিনি যেন স্বতন্ত্র ফৌজি!’’ পাল্টা টুইট করেছেন অমিরন্দরও। মোদীকে প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘‘কে আপনাকে এ সব কথা বলল? এই সব বলে দলের সঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি করা যাবে না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy