জম্মু-কা্শ্মীরের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। -ফাইল ছবি।
জমি জবরদখল করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে সেগুলির মিউটেশনের মামলায় জড়াল এ বার জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) দলের নেতা ফারুক আবদুল্লার। অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরের রোশনি জমি প্রকল্প আইনের মাধ্যমে প্রচুর জমি জবরদখল করে নিজের ও দলের নামে মিউটেশন করিয়েছিলেন ফারুক, মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়। ২০০১ সালে। তাঁর দল এনসি-র কার্যালয়ও রয়েছে ওই এলাকায়।
জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট সম্প্রতি ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) তিনটি মামলা দায়ের করেছে। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন গত ৪ নভেম্বর জম্মু ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারকে ওই মিউটেশনগুলি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে।
বর্ষীয়ান ফারুক অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘শুধু আমার বাড়িই নয়, ওই এলাকায় বাড়ি আছে কয়েকশো মানুষের। আমি এটা নিয়ে কিছুই বলব না। ওরা (জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন) আমাকে বিব্রত করতে চায়। ওরা যা চায় করুক।’’
আরও পড়ুন: ফাইজারের টিকাকে এ সপ্তাহেই ছাড়পত্র দিতে পারে ব্রিটেন
আরও পড়ুন: কনকনে পাহাড়, কলকাতা ১৫.৫, পানাগড় ৮, চলবে শীতের আমেজ
এনসি নেতা দেবেন্দ্র রাণা বলেছেন, ‘‘বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। এটা ঠিক, আইনটা হয়েছিল ফারুক আবদুল্লা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়। কিন্তু পরে অন্যান্য সরকার ক্ষমতাসীন হয়েছে। তারা সেই আইন সংশোধনও করেছে। আমরা সেই সরকারগুলিকেও দোষারোপ করছি না।’’
রোশনি এলাকায় এনসি-র কার্যালয় নিয়ে দেবেন্দ্র জানিয়েছেন, দলের কার্যালয়ের জন্য জমি নেওয়া হয়েছিল লিজে। সেই জমিতেই দলীয় কার্যালয় বানানো হয়েছে। তা রোশনি আইন মোতাবেক বৈধও।
দেবেন্দ্রের কথায়, ‘‘সিবিআই এখন তদন্ত করুক। আদালত রায় দিক। আদালতের রায় আমরা মেনে নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy