এ সব পণ্য ঢালাও বিক্রি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ‘নমো অ্যাপ’-এ।
কারও কিছু চাই গো চাই? জলছবি আর লাট্টু লাটাই? কেক বিস্কুট লাল দেশলাই?
মোদীর এ সব কিছুই নেই। আছে কলম, টুপি, লেখার খাতা। সঙ্গে টি-শার্ট। কাপ, ম্যাগনেট, চাবি।
ভোটের আগে সেগুলিই ফিরি করে বেড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এই টুপি, কলম, খাতা, টি-শার্টে লেখা আছে ভোটেরই স্লোগান, ‘নমো এগেইন’। মানে, ‘আবার নমো’। এ সব পণ্য ঢালাও বিক্রি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ‘নমো অ্যাপ’-এ। কর্মীদের সে সব পণ্য কেনার আবেদনও করছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিয়ো কনফারেন্সে বলছেন, ‘‘বিজেপি সম্পর্কিত টিশার্ট, টুপি, বই, খাতা নমো অ্যাপে অর্ডার দিলে বাড়ি বসে পেয়ে যাবেন।’’ এখনও সে ভাবে এর প্রচারও শুরু হয়নি। কিন্তু তার আগেই লক্ষ টাকার সামগ্রী ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে দলের দাবি।
আরও পড়ুন: মোদীকে ‘কাঁকড়াবিছে’ বলে বিতর্কে শশী
এ ভাবে কোনও নেতার নামে পণ্য বিক্রির রেওয়াজ পশ্চিমি দুনিয়ায় ছিল। নরেন্দ্র মোদী সেটাই ভারতে চালু করলেন। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, সরকারি অ্যাপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কী করে পণ্য বেচতে পারেন? বিজেপির দাবি, নমো অ্যাপ সরকার নয়, বিজেপি চালায়। প্রধানমন্ত্রী বিজেপিরও নেতা। ফলে দলের কাছে আবেদন করতেই পারেন তিনি।
শুধু ‘নমো এগেইন’ নয়, মোদীর প্রচারে ‘নমো নমঃ’, ‘ইন্ডিয়া ‘মোদীফায়েড’, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এমনকী গাঁধীর চশমা দিয়ে ‘মেরা ভারত, স্বচ্ছ ভারত’ স্লোগানের সামগ্রীও বিক্রি হচ্ছে। রাহুল গাঁধী আজই এক সাক্ষাৎকারে মোদীকে বিঁধে বলেছেন, ‘‘বিপণনে দেশ চলে না!’’
আরও পড়ুন: ফের খসড়া তালিকা যাচাই চাইবে অসম
কংগ্রেসের অন্য নেতারা আরও চাঁছাছোলা। রাজ বব্বর যেমন বললেন, ‘‘গত লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী স্বপ্ন বেচতেন, এখন টুপি বেচছেন। মানুষ তাঁর ভাঁওতা ধরে ফেলেছে, আর টুপি পরবে না। গাঁধীর চশমাটিও তিনি চুরি করেছেন, কিন্তু গাঁধীর আদর্শের ধারেকাছে তিনি ঘেঁষেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy