প্রতীকী ছবি।
থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে এক মহিলা পুলিশকর্মীর কাছে গণধর্ষিতাকে তাঁর স্বামীর সামনেই শুনতে হল ‘যৌমকর্মী’! অভিযোগ, ওই অপবাদ দিয়েই গণধর্ষিতার এফআইআর নিতে অস্বীকার করে হরিয়ানায় পঞ্চকুলার একটি মহিলা থানা। তাঁকে চণ্ডীগড় থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়। স্বামীকে নিয়ে সেখানে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই গণধর্ষিতা। পরে সেই অভিযোগটি পাঠানো হয় মনিমাজরা থানায়।
হরিয়ানার মর্নি হিলসের কাছে কাইম্বওয়ালা গ্রামে একটি গেস্ট হাউসে ৪ দিন ধরে আটকে রেখে ৪০-৫০ জন মিলে ধর্ষণ করে ওই মহিলাকে।
অভিযোগকারী জানিয়েছেন, মর্নি হিলসের ওই গেস্ট হাউসে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর স্বামীর পরিচিত এক ব্যক্তি। গেস্ট হাউসে তাঁকে দেখা করতে বলা হয়। তিনি দেখা করতে যান সেখানে। কিন্তু তাঁকে শিকার বানানোর জন্য যে ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছিল সেটা তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি।
মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১৫ জুলাই তিনি গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর স্বামীর পরিচিত ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও কয়েক জন ছিলেন। গেস্ট হাউসে ঢোকা মাত্র তাঁকে একটা ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়। ১৮ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল ওই ঘরে। ওই ৪ দিনে ৪০-৫০ জন লোক এসে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় জড়িত গেস্ট হাউসের মালিক সানি ও এক কর্মী অবতারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মনিমাজরা থানার আধিকারিক রঞ্জিত সিংহ জানান, একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন- গেস্ট হাউসে বন্দি রেখে ৪০ জন মিলে ধর্ষণ করল মহিলাকে!
আরও পড়ুন- ধর্ষক বাবাকে খুন, ১২ বছর পরে কবুল মেয়ের
ও দিকে, পঞ্চকুলার পুলিশ কমিশনার চারু বালি জানিয়েছেন, পঞ্চকুলার মহিলা থানার ওই মহিলা পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গেস্ট হাউসগুলির ওপর নজর না রাখার দায়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে রামগড় ও মর্নির পুলিশ ফাঁড়ি দু’টির দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ অফিসারকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy