কংগ্রেস বিধায়ক প্রহ্লাদ পটেলকে দলে স্বাগত জানাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি জিতু বাঘানি। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যসভা নির্বাচনের মুখে ফের ধাক্কা কংগ্রেসে। মোদী-শাহের দুর্গে ভেঙে গেল কংগ্রেসের ঘর। তিন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। গুজরাত কংগ্রেসের বর্ষীয়াণ এবং প্রভাবশালী নেতা তথা গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শঙ্করসিন বাঘেলা কয়েক দিন আগেই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সে রাজ্যের কংগ্রেসে বাঘেলার অনুগামীর সংখ্যা কম নয়। তাই বাঘেলার দলত্যাগের পরই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল যে কংগ্রেসে আরও ধাক্কা লাগতে চলেছে। জল্পনা সত্যি করে বলবন্তসিন রাজপুত, তেজশ্রীবেন পটেল এবং প্রহ্লাদ পটেল বৃহস্পতিবার কংগ্রেস ছাড়লেন। বাঘেলার পথে হেঁটে তাঁরাও বিজেপিতে যোগ দিলেন।
৮ অগস্ট রাজ্যসভা নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছে গুজরাত। শাসক বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে এবং কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে। বিরোধী কংগ্রেস একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তিনিও হেভিওয়েট। তিনি খোদ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল। কিন্তু আহমেদ পটেলের রাজ্যসভায় ফেরার পথ কঠিন করে তুলতে আচমকা তৎপর হয়েছে বিজেপি। শঙ্করসিন বাঘেলার দলত্যাগে এমনিতেই রাজ্যসভা নির্বাচনের মুখে দুর্বল হয়েছে গুজরাতের কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার তিন বিধায়ক দল ছাড়ায় কংগ্রেস আরও দুর্বল হল। আহমেদ পটেলকে হারাতেই বাঘেলা-অমিত শাহ জুটি কংগ্রেস ভাঙানো শুরু করেছে বলে কংগ্রেসের একাংশের দাবি।
আরও পড়ুন: গত চার বছরে বিজেপি ও মোদী সম্পর্কে ঠিক কী কী বলেছিলেন নীতীশ
১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় কংগ্রেসের আসন ছিল ৫৭টি। বৃহস্পতিবার তিন বিধায়ক পদত্যাগ করে দল ছেড়ে দেওয়ায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে হল ৫৪। আহমেদ পটেলের জয়ের জন্য দরকার ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থন। কিন্তু সেই সমর্থন মিলবে কি না, তা নিয়ে কংগ্রেস নিশ্চিত হতে পারছে না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গুজরাত বিধানসভা থেকে ৫৭টি ভোট পাওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস প্রার্থী মীরা কুমারের। কিন্তু মীরা পেয়েছিলেন ৪৯টি ভোট। অর্থাৎ অন্তত ৮ কংগ্রেস বিধায়ক মীরাকে ভোট দেননি। রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে তিন বিধায়ক দল বদলে নিলেন। গোপনে আরও কেউ কেউ ক্রস ভোটিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জল্পনা গাঁধীনগরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy