অভিযুক্ত বিকাশ বরালা। ছবি: সংগৃহীত।
এক তরুণীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল হরিয়ানা বিজেপির সভাপতি সুভাষ বরালার ছেলে বিকাশ বরালা ও তাঁর এক বন্ধুকে। পরে অবশ্য তাঁরা জামিনও পেয়ে যান।
ঠিক কী ঘটেছিল?
আরও পড়ুন: ধর্ষণের চেষ্টা রুখে হামলাকারীর জিভ কামড়ে ছিঁড়ে নিলেন মহিলা
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে চণ্ডীগড়ের হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক আইএএস অফিসারের মেয়ে। হঠাত্ই তিনি দেখেন, একটি গাড়িতে দুই যুবক তাঁকে অনুসরণ করছে। গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন তিনি। ওই যুবকরাও তাঁদের এসইউভি-র গতি বাড়ায়। তরুণী জানান, কখনও গাড়ি টপকে, কখনও গা়ড়ির পিছনে এমন ভাবে আসছিল ওই যুবকেরা, মনে হচ্ছিল এখনই ধাক্কা মারবে। ফেসবুকে তুরুণী লেখেন, ‘গাড়ি চালাতে চালাতেই পুলিশকে ফোন করছিলান আমি। ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছিল। মনে হচ্ছিল আর বোধ হয় আর বাড়ি ফেরা হবে না। অপেক্ষা করছিলাম কখন পুলিশ আসবে।”
তিনি আরও লেখেন, “ভাগ্য ভাল যে আমি কোনও সাধারণ ঘরের মেয়ে নই। না হলে এত ক্ষণে আমাকে ধর্ষণের পর খুন করে কোথাও দেহ ফেলে দেওয়া হত!”
আরও পড়ুন: দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রকে যৌন হেনস্থা, সাসপেন্ড স্কুলের অধ্যক্ষা
কিছু ক্ষণ এই ভাবে চলার পর পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় ওই দুই যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে উত্যক্ত করা এবং মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিকাশ ও আশিসকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন অপহরণের মামলা করা হল না, এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে চণ্ডীগড়ের পুলিশ আধিকারিক সতীশ কুমার জানান, তরুণীর বয়ানে অপহরণের চেষ্টার কোনও উল্লেখ নেই। সে কারণেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করা হয়নি।
আরও পড়ুন: তদন্তের নামে আটকে রেখে ‘শ্লীলতাহানি’
এই ঘটনার পরই বিরোধীরা হইচই শুরু করে দেয়। বিজেপিকে আক্রমণ করে তারা সুভাষ বরলার পদত্যাগের দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, “এটা দলের কোনও বিষয় নয়। এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আইন আইনের পথে চলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy