সকালের মেজাজ দেখেই নাকি বোঝা যায়, গোটা দিনটি কেমন যাবে!
এই আপ্তবাক্যটি মেনে নিলে, আজ থেকে শুরু হওয়া ভারতীয় বিদেশসচিব এস জয়শঙ্করের ট্রাম্প-জমানায় প্রথম মার্কিন সফর আশানুরূপই হতে চলেছে।
আজ চার দিনের সফরে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন জয়শঙ্কর। আর গতকাল রাতেই মার্কিন কংগ্রেসে কানসাসে শ্রীনিবাস হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি নেহাত কাকতালীয় নয় বলেই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। এর পিছনে নয়াদিল্লিকে একটা বার্তা দেওয়ার প্রয়াসও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কানসাসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীনিবাস কুচিভোটলার মৃত্যু নিয়ে গত পাঁচ দিন ধরে ভারত এবং আমেরিকা তোলপাড় হচ্ছে। কিন্তু মুখ খোলেননি ট্রাম্প। তাঁর এই নীরবতা নিয়ে এক দিকে যেমন ঘোর অস্বস্তি তৈরি হচ্ছিল ভারতীয় কূটনৈতিক মহলে, তেমন নিজের দেশেও রাজনৈতিক বিতর্কের মুখোমুখি হচ্ছিলেন নতুন প্রেসিডেন্ট। অবশেষে এই বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের যুগ্ম অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় বর্ণবৈষম্যের নিন্দা করে কানসাস কাণ্ডের উত্থাপন করেছেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘‘ইহুদি সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনা এবং গত সপ্তাহে কানসাস শহরে গুলি চালানোর ঘটনা একটি বিষয়কে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। সেটি হল, নীতিগত ভাবে আমাদের দেশ বিভক্ত হতেই পারে। কিন্তু এই ধরনের ঘৃণা এবং আসুরিক ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যেন সবাই একজোট হয়ে দাঁড়াই।’’
আরও পড়ুন:এক ঘণ্টায় এক ঝুড়ি স্বপ্ন ফিরি করলেন ট্রাম্প
ওই ঘটনা নিয়ে শোরগোল তুলেছিল একাধিক ইন্দো-মার্কিন সংস্থাও। আজ ট্রাম্প বার্তা দিলেও সুর নরম করেননি অনেকে। যেমন, মার্কিন কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য প্রমীলা জয়পাল। তাঁর কথায়, ‘‘ট্রাম্প মুখে যা বলেন, তার সঙ্গে তাঁর কাজের কোনও মিলই থাকে না। তিনি এখনও মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।’’
যে যে বিষয় ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে জয়শঙ্কর আলোচনায় তুলবেন, তার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে— সে দেশে কর্মরত ভারতীয় পেশাদারদের ভিসা প্রসঙ্গ। সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপত্তার বিষয়টিও যে অগ্রাধিকার পাবে তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল সাউথ ব্লক। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, শ্রীনিবাসের হত্যার ঘটনাটি নিয়ে শুধুমাত্র হায়দরবাদে নয়, গোটা দেশেই একটা আবেগ তৈরি হয়েছে। ভারত যদি এই বিষয়ে সক্রিয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ করতে না পারে, তা হলে তা মোদী সরকারের চরম বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আসন্ন সংসদীয় অধিবেশনে বিরোধীরাও ছেড়ে কথা বলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy