লালকেল্লায় স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই
মহিলা নিগ্রহ আর গণপিটুনি নিয়ে লালকেল্লা থেকে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এমন ‘রাক্ষসের মানসিকতা’ রুখতে তাঁর দাওয়াই, ফাঁসির সাজার আরও বেশি প্রচার। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার নয়, সমাজকেই এই বিকৃতি মুক্তির দায়িত্ব নিতে হবে।’’
এটুকু ছাড়া প্রধানমন্ত্রী আজ গণপিটুনি নিয়েও কোনও কড়া বার্তা দিলেন না। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থানের মতো রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ-কাণ্ডেরও আলাদা করে উল্লেখ করলেন না। বিরোধীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরেই গণপিটুনি, মহিলা নিগ্রহ বেড়েছে। যার বেশির ভাগই হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। এমনকী বিজেপির বিধায়ক-নেতারাও অভিযুক্ত। অথচ অভিযুক্তদের মদত দেওয়া হচ্ছে, মালা পরানো হচ্ছে। বিরোধীরা বলছেন, লালকেল্লা থেকে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছেন। কিন্তু কঠোর শাস্তি না-হলে কী করে বন্ধ হবে এমন ঘটনা?
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই মহিলাদের মধ্যে মোদীর জনপ্রিয়তা তুলে ধরত বিজেপি শিবির। মহিলাদের বড় ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেও দেখে বিজেপি। কিন্তু সম্প্রতি নারী নির্যাতন যে ভাবে বেড়েছে, তাতে রাহুল গাঁধীরা সেই ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে শুরু করেছেন। তাই আজ লালকেল্লায় মোদীর বক্তৃতায় অনেকটা অংশ জুড়ে রইল মহিলাদের প্রসঙ্গই।
স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা আজ শুরুই করলেন মহিলাদের সাফল্য নিয়ে। মহিলাদের এভারেস্ট জয় থেকে সাত সমুদ্র পার, তিন তালাক থেকে মহাকাশে মহিলাদেরও পাড়ি দেওয়ার সম্ভাবনার কথা আজ উস্কে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই বলেন, ‘‘সব ক্ষেত্রে মহিলারা যখন তেরঙ্গার মান রাখছেন, তখন সমাজে কখনও বিকৃতি দেখা দিচ্ছে। মহিলা শক্তিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে রাক্ষসের শক্তি। ধর্ষণের ঘটনা যেমন সেই মেয়ের কাছে যন্ত্রণার, তার থেকেও বেশি হওয়া উচিত গোটা দেশবাসীর।’’
এর পরেই প্রধানমন্ত্রী শোনান সম্প্রতি বিজেপি-শাসিত দুই ভোটমুখী রাজ্য রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের কথা। সেখানে ধর্ষণের ঘটনায় অতি দ্রুত বিচার করে ফাঁসির সাজা হয়েছে। মোদীর মতে, ‘‘এ খবর যত প্রচার হবে, ততই এই রাক্ষসের মানসিকতা ভয় পাবে। দেশে আইন আছে। কেউ আইন নিজের হাতে নিতে পারবে না। স্কুল, কলেজ থেকে পরিবারে মহিলাদের সম্মান দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy