—প্রতীকী ছবি।
ভরত মহাসাগরে একের পর এক চিনা চর জাহাজের উপস্থিতির ‘জবাব’ দিল ভারতীয় নৌসেনা। এ বার দক্ষিণ চিন সাগরের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে তিনটি যুদ্ধজাহাজ। ঘটনাচক্রে, দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকাংশ এলাকাই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে বেজিং। তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তাইওয়ান, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেইয়ের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠীর বিরোধও রয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড কৌশলগত মোতায়েনের অংশ হিসেবেই দক্ষিণ চিন সাগরে তিনটি রণতরী পাঠিয়েছে। সেগুলি এখন সিঙ্গাপুরের উপকূলে রয়েছে। ভারতীয় নৌসেনার রিয়ার অ্যাডমিরাল রাজেশ ধনখড়ের নেতৃত্বে তিনটি যুদ্ধজাহাজ চলতি সপ্তাহের গোড়ায় সিঙ্গাপুরের পৌঁছনোর পরে সে দেশের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নৌসেনার জওয়ান ও আধিকারিকদের স্বাগত জানান।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে সিঙ্গাপুরের নৌবাহিনীর সঙ্গে একটি মহড়ায় অংশ নেবে তিনটি যুদ্ধজাহাজ— ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ার আইএনএস দিল্লি, জ্বালানিবাহী আইএনএস শক্তি এবং কর্ভেট শ্রেণির ছোট, দ্রুতগামী যুদ্ধজাহাজ কিল্টন। প্রসঙ্গত, চার বছর আগে পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশের সময়ও ভারতীয় নৌসেনার একটি যুদ্ধজাহাজকে দক্ষিণ চিন সাগরে পাঠানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগরে দুই পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কা এবং মলদ্বীপে গত কয়েক বছর ধরেই চিনা চর জাহাজের আনাগোনা রয়েছে। মার্চের শেষ পর্বে ওই অঞ্চলে চারটি চিনা জাহাজ— শিয়াং ইয়াং হং-০১, শিয়াং ইয়াং হং-০৩, ইউয়ান ওয়াং-০৩ এবং ডা ইয়াং হাওয়ের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy