ছবি পিটিআই।
বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে টু প্লাস টু বৈঠকের পর, ভারত ও আমেরিকা, দু’দেশ একত্রে পাকিস্তানের মদতপ্রাপ্ত সীমান্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিল। বৈঠকের পর কাল রাতে যে বিস্তৃত যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে জঙ্গি সংগঠনগুলির নাম করে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এ ভাবে চড়া সুরে আমেরিকাকে পাশে পাওয়া, নয়াদিল্লির ভূ-রাজনীতির পক্ষে এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেশী বলয়ে ইদানীং কিছুটা কোণঠাসা হয়ে রয়েছে ভারত। অতিমারি-কবলিত বিশ্বে বহুপাক্ষিক সংগঠনগুলিকে নতুন করে সাজানোর জন্য গলা তুলছে সাউথ ব্লক। এমন সময়ে আমেরিকার মতো দেশকে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিজেদের সঙ্গে রাখতে পারলে তা যথেষ্ট সুবিধাজনক হবে বলেই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’দেশের মন্ত্রীরা বৈঠকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। জঙ্গিদের অর্থ জোগানো, মৌলবাদ, এবং ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে জঙ্গিদের কার্যকলাপের মোকাবিলা করা নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। এর পরই ইসলামাবাদের দিকে সরাসরি তর্জনী নির্দেশ করে সীমান্ত সন্ত্রাসের ঘোরতর নিন্দা করা হয়েছে ভারত এবং আমেরিকা দু’তরফেই। আল কায়দা, আইএস, লস্কর ই তইবা, জইশ ই মহম্মদ, এবং হিজবুল মুজাহিদিন-সহ সমস্ত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে তারা।
আফগানিস্তানের ব্যাপারে পাক-নির্ভরতা কমাতে এক বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকায় আসন্ন নির্বাচনের পরেও এই প্রয়াসের ইতরবিশেষ হবে বলে মনে করছে না কূটনৈতিক শিবির। বৈঠকে গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে কাবুল প্রসঙ্গও। সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশদে জানান যে, আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারত তথা গোটা দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি সংযুক্ত। ভারত চায় সার্বভৌম, শান্তিপূর্ণ, ঐক্যবদ্ধ, গণতান্ত্রিক, সুস্থির ও নিরাপদ আফগানিস্তান। সূত্রের খবর, বৈঠকে আমেরিকার বিদেশ ও প্রতিরক্ষাসচিব কাবুলের উন্নয়ন প্রকল্পে দিল্লির ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy