ফাইল ছবি
তেল নিয়ে রাজনীতি অব্যাহত। ভারতকে তেলের দাম বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরের দিনই সুর নরম করল ইরান। নয়াদিল্লির ইরান দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, তেলের বিষয়ে ভারত ইরানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশ। মঙ্গলবারই ভারতে নিযুক্ত ইরানের উপ-রাষ্ট্রদূত মাসুদ রেজভানিয়ান রাহাঘি বার্তা দিয়েছিলেন, ইরান থেকে তেল আমদানি কমালে ভারতকে দেওয়া বিশেষ ছাড় বন্ধ করার কথা ভাববে তেহরান।
কূটনৈতিক চাপান-উতোরের পর অবশ্য পিছু হঠল ইরান। ইরান দূতাবাসের নয়া বক্তব্য, কার কাছ থেকে তেল আমদানি করবে ভারত, তা নয়াদিল্লির নিজস্ব বিষয়। কারণ বিষয়টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক তেলের বাজারের অনিশ্চয়তা।
একই সঙ্গে ইরান জানিয়েছে, ভারতকে তেল রফতানির ক্ষেত্রে সবরকমের সহযোগিতা করবে তাঁরা। তার মধ্যে থাকছে ভারতের জন্য বিশেষ ছাড়ের বিষয়টিও।
শুধু ইরান নয়, তেল নিয়ে সরগরম সারা দুনিয়াই। ৪ নভেম্বরের মধ্যে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে সব দেশকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। যদিও এনিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন: তেল আর বন্দরে বিনিয়োগ নিয়ে ইরানের জোড়া হুঁশিয়ারি ভারতকে
এরই মধ্যে তেল সরবরাহকারী দেশগুলির সংগঠন ‘ওপেক’-কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সঞ্জীব সিংহ। অশোধিত তেলের দাম না কমানো হলে বিকল্প ভাবতে বাধ্য হবে ভারত। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তির রাস্তাতেই হাঁটবে ভারত।
অশোধিত তেলের বিশ্ববাজারে ভারত পৃথিবীর অন্যতম ক্রেতা। তাই এই হুঁশিয়ারিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে আন্তর্জাতিক দুনিয়া। এপ্রিল থেকে লাগাতার বাড়ছে অশোধিত তেলের দাম। লিবিয়া ও ভেনিজুয়েলার ওপর চাপানো বিধিনিষেধের কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি। সেক্ষেত্রেও দায়ী আন্তর্জাতিক রাজনীতি। দাম নিয়ন্ত্রণে ওপেক আগামী দিনে তেল সরবরাহ বাড়ানোর কথা বললেও তা পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy