পিএসএলভি রকেট। ছবি ইসরোর ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।
গবেষণা তো চলবেই। বাণিজ্যও প্রয়োজন। তাই ভূ-পর্যবেক্ষণের জন্য দেশের একটি শক্তিশালী উপগ্রহ ‘হাইসিস’ আর ৩০টি বিদেশি উপগ্রহকে দু’দিন পর, বৃহস্পতিবার মহাকাশে পাঠাবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। অত্যন্ত শক্তিশালী ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (পিএসএলভি) সি-৪৩’-এর পিঠে চাপিয়ে। ৩০টি বিদেশি উপগ্রহের মধ্যে ২৩টিই আমেরিকার। বাকি সাতটি অন্যান্য দেশের।
বৃহস্পতিবার দেশের পূর্ব উপকূলে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্রের প্রথম উৎক্ষেপণ স্থল (ফার্স্ট লঞ্চ প্যাড) থেকে হবে ওই উৎক্ষেপণ। এর আগে ৪৪ বার পিএসএলভি-সি-৪৩ রকেটের পিঠে চাপিয়েই বিভিন্ন উপগ্রহকে পৃথিবীর কক্ষপথ বা মহাকাশে পাঠিয়েছে ইসরো।
ইসরো সূত্রের খবর, একই সঙ্গে ৩০টি বিদেশি উপগ্রহকে পাঠানো হলেও এ বারের মূল লক্ষ্য, ভূ-পর্যবেক্ষণের জন্য দেশের অত্যন্ত শক্তিশালী উপগ্রহ ‘হাইসিস’-কে মহাকাশে পাঠানো।
‘হাইসিস’-কে পাঠানো হবে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৩৬ কিলোমিটার উপরে সূর্যের মেরুর দিকে ঝুঁকে থাকা (পোলার সান-সিনক্রোনাস অরবিট বা ‘এসএসও’) পৃথিবীর একটি কক্ষপথে। তবে তা সূর্যের সঙ্গে কোনও সরলরেখায় থাকবে না। সূর্যের দিকে হেলে থাকবে ৯৭.৯৫৭ ডিগ্রি কোণে।
আরও পড়ুন- মাটি খুঁড়ে আগ্নেয়গিরি দেখতে মঙ্গলে নামল নাসার ‘ইনসাইট’
আরও পড়ুন- মঙ্গলের পর শুক্র, ফের ভিনগ্রহে মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতি ভারতের
পৃথিবীর যতটা উপরে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (৩৭০ কিলোমিটার) তার দ্বিগুণের কাছাকাছি দূরত্বের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে ‘হাইসিস’। আর সেখান থেকেই ভূপৃষ্ঠের উপর নজরদারি চালাবে। তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গের তিনটি এলাকা- দৃশ্যমান, নিয়ার ইনফ্রারেড ও শর্টওয়েভ ইনফ্রারেডে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন এলাকার উপর তার নজর রাখবে ‘হাইসিস’।
ইসরো জানিয়েছে, ‘হাইসিস’-এর কার্যকালের মেয়াদ হবে ৫ বছর। ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত তা সক্রিয় থাকবে। ‘হাইসিস’-কে ভূপৃষ্ঠের ৬৩৬ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কোনও একটি কক্ষপথে পাঠানো হলেও বাকি বিদেশি উপগ্রহগুলিকে পাঠানো হবে পৃথিবীর ৫০৪ কিলোমিটার উপরের কক্ষপথে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy