প্রতীকী ছবি।
খবরটা ছড়িয়ে পড়ল নারীদিবসেই। বিজেপি শাসিত রাজস্থানে মেয়েদের কলেজে যেতে হবে শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ পরে। জিনস, স্কার্টের মতো পোশাক এক্কেবারে নিষিদ্ধ।
শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।ফেসবুকে ভেসে উঠেছে একের পর এক মন্তব্য। সেখানে যেমন লেখা হয়েছে, ‘গোটা বিশ্ব এগিয়ে চলেছে।রাজস্থানে আমরা কিন্তু অনেকটাই পিছিয়ে পড়লাম,’ তেমনই পোস্ট করা হয়েছে, ‘পছন্দসই পোশাকপরার স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এতো ফতোয়ার সামিল...’।
রাজস্থানের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি কলেজের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়ে সে রাজ্যের কমিশনারেট অব কলেজ এডুকেশন জানিয়েছে,‘আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু করতে হবে ড্রেস-কোড’।
অারও পড়ুন, স্টিয়ারিংয়ে হাত প্রতিমার, গেটে শিবেশ্বর, ঘুরছে জীবনের চাকা
কেমন সেই বিধি? কমিশনারেটের নির্দেশ, স্কুলে যেমন ড্রেস থাকে, সেই একই ব্যবস্থা চালু করতে হবে রাজ্যের সমস্ত কলেজে। জিনস কিংবা স্কার্টের মতো পোশাকে কলেজে আসা চলবে না। পরতে হবে শাড়ি। সালোয়ার-কামিজও চলতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে দোপাট্টা বাধ্যমূলক।
কংগ্রেসের অভিযোগ, দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোয় শিক্ষার নামে চলছে গৈরিকীকরণ। সম্প্রতি রাজস্থানে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে যে সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে, তার রং তাত্পর্যপূর্ণভাবে গেরুয়া। ক্ষমতায় আসার পরেই মেয়েদের কলেজে ড্রেস কোড চালু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবার সে তালিকায় যুক্ত হল বিজেপি শাসিত রাজস্থানের নামও।
পোশাকের স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ তুলে নারী অধিকার রক্ষায় যুক্ত সংগঠনগুলো সরব। উত্তাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিপাকে পড়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী কিরণ মাহেশ্বরী। তাঁর যুক্তি, ‘‘কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকানোর জন্যেই ড্রেস-কোড চালু করা হয়েছে। নারীদের পোশাক স্বাধীনতা হরণের প্রশ্নই ওঠে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy