জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের জল কোন দিকে গড়াতে চলেছে, তা নিয়ে রহস্য বাড়ল। সোমবার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার শিবির থেকেই জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। অথচ আজ সেই বৈঠক না-হওয়ায় সিন্ধিয়া দাবি করলেন, এমন কোনও বৈঠক হওয়ারই কথা ছিল না! তিনি সনিয়া গাঁধীর কাছে সময় চাননি বলেও সিন্ধিয়ার দাবি। সিন্ধিয়াকে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যের স্ক্রিনিং কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘আমার নজর এখন মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে।’’
মুখে যা-ই বলুন, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসে প্রদেশ সভাপতির পদে বসতে চাইছেন সিন্ধিয়া। কমল নাথ এখন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রদেশ সভাপতির পদেও রয়েছেন। রাজ্যের এক মন্ত্রী প্রকাশ্যে অভিযোগ তুলেছেন, কমল মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও আসলে দিগ্বিজয় সিংহ সরকার চালাচ্ছেন। তার পরে কমলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সনিয়া। কিন্তু সিন্ধিয়ার সঙ্গে তাঁর এখনও বৈঠক হয়নি। সিন্ধিয়া যখন বলছেন তিনি মহারাষ্ট্রের ভোট নিয়ে ব্যস্ত, সেই সময়ে আজ দশ জনপথে সনিয়া বৈঠক করেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে। সূত্রের বক্তব্য, সনিয়া দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটিই পওয়ারের সঙ্গে তাঁর প্রথম বৈঠক। সৌজন্য-সাক্ষাৎ হলেও ভোটের কৌশল তথা কংগ্রেস-এনসিপি জোট নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে তাঁদের।
রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের এই নবীন বনাম প্রবীণ লড়াইয়ের মধ্যেই আজ দলের নেতা শশী তারুর ফের দাবি তুলেছেন, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি থেকে সমস্ত পদে ভোট হওয়া জরুরি। তাঁর মতে, নিরপেক্ষ ভোট হলে নতুন নেতারাও ইচ্ছে মতো কাজ করার ক্ষমতা পান। তবে তারুরের মতে, বিভিন্ন গোষ্ঠীকে এককাট্টা করে রাখতে সনিয়া গাঁধীর ক্ষমতা প্রমাণিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা জরুরি। সেই কারণেই অন্তর্বর্তী সভানেত্রী পদে তিনি শ্রেষ্ঠ বিকল্প ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy