এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যপাট একাই চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা।
এক সপ্তাহ ধরে একাই রাজা তিনি।
কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। রাজ্যে কুমারস্বামীর সরকার পড়ে যাওয়ার পরে গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যপাট চালাচ্ছেন একাই। তাঁর সঙ্গে আর কোনও মন্ত্রী শপথ নেননি। ইয়েদুরাপ্পা একাই মন্ত্রিসভার বৈঠক করছেন, একাই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। রাজ্যের যাবতীয় মন্ত্রকও তাঁর হাতে।
দিল্লিতে বিজেপির এক শীর্ষ নেতা অবশ্য দাবি করছেন, ‘‘অপেক্ষা করুন আর কয়েকটি দিন। সামনের বুধবারই অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে ইয়েদুরাপ্পার। তার আগে মন্ত্রীদের তালিকাও তৈরি করে ফেলতে হবে তাঁকে। সামনের শুক্রবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হওয়ার সম্ভাবনা।’’
বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন, মূলত তিনটি কারণ। এক, ইয়েদুরাপ্পা তাঁর পছন্দের ব্যক্তিদের মন্ত্রী করতে চান, যাঁরা তাঁর ঘোর সমর্থক। কিন্তু দিল্লি চায় মন্ত্রিসভায় নবীন মুখও আনতে। ইয়েদুরাপ্পা যাঁকে স্পিকার করতে চেয়েছিলেন, দিল্লি তাঁর নামও খারিজ করে দিয়েছে। দুই, কংগ্রেস ও জেডিএসের যে বিধায়কেরা বিদ্রোহী হয়েছেন, তাঁদের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রাক্তন স্পিকার তাঁদের ভোটে লড়ার অধিকারও কেড়ে নিয়েছেন। অথচ তাঁদের কাউকে কাউকে মন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁদের জন্যও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তিন, জেডিএস-কংগ্রেস জোটও ভাঙতে পারে বলে মনে করছে বিজেপি। জেডিএস-কে বাদ দিয়েই কংগ্রেস উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কংগ্রেস নেতারা প্রকাশ্যেই বলছেন, তাঁদের ‘হাইকম্যান্ড’ এমনই নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কংগ্রেসের সেই ‘হাইকম্যান্ড’ এখন কে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
কিন্তু এই সব সাত-পাঁচেই আটকে রয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। যদিও দিল্লি থেকে মুরলীধর রাওকে ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে বসে সম্ভাব্য মন্ত্রীদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। সামনের সপ্তাহে অমিত শাহের সবুজ সঙ্কেত পেলে তবেই নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy