ছবি: এএফপি।
কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা তৃতীয় পক্ষ নয়। এ ভাবেই মঙ্গলবার তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ালেন নওয়াজ শরিফ। পাক-প্রধানমন্ত্রী এ দিন তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, “কাশ্মীরি নেতারা কোনও তৃতীয় পক্ষ নয়। বরং কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ওঁদের মতামতটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ওঁদের বাদ দিয়ে ওঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা কী ভাবে সম্ভব?”
কয়েক মাস আগে উফায় শান্তি প্রক্রিয়ার নতুন সূচনার যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী, তা বানচাল হয়ে গিয়ে ভেস্তে গিয়েছে ভারত-পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতাদের উপস্থিতি মেনে নিতে চায়নি নয়াদিল্লি। কিন্তু, পাকিস্তানের সহানুভূতি রয়েছে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতাদের পক্ষেই। মঙ্গলবারের বিবৃতিতে সে কথাই স্পষ্ট করে দিলেন পাক-প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
তিনি জানিয়ে দেন, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতারা বৈঠকে সামিল না হলে কাশ্মীর-সমস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কোনও আলোচনায় যাওয়াটাই বৃথা!
প্রসঙ্গত, অজিত ডোভাল ও সরতাজ আজিজের বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে কথার দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান। ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের আগে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করতে চেয়েছিলেন আজিজ। এই দু’টি বিষয় নিয়েই অনড় অবস্থান নিয়েছিল দিল্লি। দিল্লিতে আসা এক ঝাঁক হুরিয়ত নেতাকে আটকও করা হয়। ফলে, বৈঠক বাতিল হয়েছে।
তার পরে রবিবার পাকিস্তানে একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন সরতাজ আজিজ। সাংবাদিকদের তিনি জানান, পাকিস্তান বছরের পর বছর ধরে হুরিয়তের সঙ্গে কথা বলে এসেছে। তাই হুরিয়তের সঙ্গে কথা না বলার প্রশ্ন নেই। দিল্লিতে সাবির শাহ, বিলাল লোনের মতো হুরিয়ত নেতা আটক হওয়ায় উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy