মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে কেন্দ্রের লক্ষ্য যে লালুপ্রসাদ তা মোটামুটি পরিষ্কার। আর সে কারণেই এক পা এগিয়ে দু’পা পিছোচ্ছেন আরজেডি প্রধান।
কথা রয়েছে, আগামী কাল চেন্নাইয়ে ডিএমকে প্রধান করুণানিধির ৯৪তম জন্মদিনকে সামনে রেখে জড়ো হবেন বিজেপি-বিরোধী নেতানেত্রীরা। কিন্তু সব ঠিক থাকলেও শেষ মুহূর্তে, আজ রাতে টুইট করে লালুপ্রসাদ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চেন্নাইয়ের বিরোধী ‘কনক্লেভ’-এ হাজির থাকছেন না।
ওই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য করুণানিধির মেয়ে কানিমোঝি নিজে এসে তাঁকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। গত ২৫ মে দিল্লিতে বিরোধী দলের বৈঠকের পরে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন লালু নিজেই। তারপরেও আজ পিছিয়ে এলেন। কেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহে কিছুটা হলেও কৌশলী হয়েছেন তিনি।
আগামী ৯ জুন পশুখাদ্য মামলায় রাঁচির সিবিআই বিশেষ আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার নোটিস পেয়েছেন এই মামলায় ইতিমধ্যেই সাজাপ্রাপ্ত লালুপ্রসাদ। আশঙ্কা, তাঁর জামিন খারিজের জন্য এ বার পাল্টা আবেদনে যেতে পারে সিবিআই। পাশাপাশি, আগামী ৭-৮ জুন বড় মেয়ে মিসা ভারতী ও জামাই শৈলেশকে অবৈধ অর্থ নয়ছয়ের মামলায় নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাজের জন্য ডেকেছে আয়কর দফতর। এ ছাড়াও, বড় ছেলে তেজপ্রতাপের পেট্রোল পাম্পের লাইসেন্স খারিজ করতে চেয়ে তাঁকে শো-কজ নোটিস ধরিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়ম। আগামী ১২ জুনের মধ্যে বড় ছেলে তেজপ্রতাপকে তার উত্তর দিতে হবে। বিজেপির এই লাগাতার চাপের মুখে কিছুটা হলেও কোণঠাসা আরজেডি। আজ পটনায় রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও হাজির হননি লালুপ্রসাদের দুই ছেলে, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজপ্রতাপ। যদিও দু’জনেই শহরে ছিলেন। লালুপ্রসাদ আপাতত কিছু দিন চুপচাপ থেকে পরিস্থিতি যাচাই করবেন। বুঝতে চাইবেন বিজেপির পরের পদক্ষেপ। সে কারণেই এই ‘পিছু হঠা’।
আরও পড়ুন: এক মেয়ে আইএস ডেরায় মরতে চাইতেন, অন্য জন গিয়েছেন মারতে
তবে দেওয়ালে পিঠ ঠেকলে আক্রমণাত্মক হওয়ার প্রস্তুতি তো চলছেই। আগামী ২৭ অগস্ট পটনায় বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক কনক্লেভ করতে চাইছেন লালু। দলের ঘনিষ্ট মহলে তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে উত্তর ভারতের বিরোধীদের এক মঞ্চে আনতে হবে। সেটা না করে অন্যত্র গিয়ে লাভ নেই।’’ আর সে কারণেই দক্ষিণ ভারতে গিয়ে বিরোধী ঐক্যের চেয়ে পটনার সভার আগে জেলে যেতে চাইছেন না তিনি। লালুপ্রসাদের দলের তরফে এ নিয়ে কিছু বলা না হলেও ঘনিষ্ঠ এক নেতার দাবি, ‘‘নেতাজির শরীর ভাল নেই। সে কারণেই তিনি চেন্নাই যাচ্ছেন না।’’
তবে লালু না গেলেও চেন্নাইয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আজই দিল্লি রওনা হয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy