পাঁচ রাজ্যের ভোট ও অন্য নানা কাজে আসতে পারছেন না অনেকেই। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের বৈঠক ভাঙা হাটের চেহারা নিক, এটা আদৌ চান না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী শিবিরের অনেক নেতানেত্রী। তাই ২২ তারিখ দিল্লিতে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠকের সম্ভাবনা খুবই কম। ডিসেম্বরে সংসদ বসার আগে তা হতে পারে।
তেলুগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু অবশ্য এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরশু তিনি কলকাতা যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে। মমতাকে ২২ তারিখ রাজধানীতে বিরোধীদের বৈঠকে হাজির থাকার জন্য অনুরোধও করবেন নায়ডু। কিন্তু রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সে দিন উপস্থিত থাকতে পারছেন না অনেক নেতাই। তৃণমূল নেত্রীও চান না, অনুপস্থিতির কারণে বিরোধীদের জোটে কোনও ফাটল প্রকাশ পাক। সকলের সঙ্গে কথা বলে, সকলের উপস্থিতিতে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ ছবি তুলে ধরতে আগ্রহী তিনি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, মমতার সঙ্গে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ নেতার। জানা গিয়েছে, ২২শের বৈঠকে যেতে এখনও রাজি হননি বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। আসতে পারবেন না সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ সিংহ যাদবও। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষেও ওই দিনটি সুবিধের হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে। তার অন্যতম কারণ, পাঁচ রাজ্যে ভোট নিয়ে এখন প্রবল ব্যস্ত রাহুল গাঁধী ও দলের
অন্য নেতারা।
এই পরিস্থিতিতে আগামী মাসে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে একটি দিন স্থির করে দিল্লিতে বৈঠকটি করার চেষ্টা চলছে। মমতা নিজেও সেটা চান বলেই দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এতে বিএসপি নেত্রীর সঙ্গেও আরও কিছুটা দৌত্য করার সুযোগ থাকবে। একই মঞ্চে মায়াবতী-অখিলেশকে আনতে পারলে ২০১৯-এর ভোটের আগে তা বিরোধী মঞ্চের ঐক্যের এক বড় বিজ্ঞাপন হয়ে উঠবে।
বাম সূত্রের খবর, সীতারাম ইয়েচুরিও সম্প্রতি চন্দ্রবাবুকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ২২ তারিখ ওই বৈঠক না করে পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল প্রকাশের পরে তা করা হোক। এতে ২০১৯-এর ভোটের আগে বিজেপি ও অন্য দলগুলির ছবিটা স্পষ্ট হবে। কিন্তু নায়ডু তাতে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে ডিসেম্বরের আগে বিরোধীদের বৈঠক কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy