ছবি: পিটিআই।
কুকথা চলছেই। প্রকাশ্য সভায় এ বার খোদ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গাঁধীকে অকথ্য গালিগালাজের অভিযোগ উঠল হিমাচল প্রদেশের বিজেপি সভাপতি সতপাল সিংহ সত্তী-র বিরুদ্ধে। শুধু বিরোধিতা নয়, পরিবার টেনে এনে রাহুলকে ব্যক্তিগত স্তরে ও চরম নোংরা ভাষায় অপমান করা হয়েছে বলে সুর চড়ায় কংগ্রেস। কালকের প্রচারে সতপালের সেই ভিডিয়ো ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সতপাল তবু বলেই চলেছেন, ‘‘আমি নিজের মুখে কিছুই বলিনি। ফেসবুকে পাওয়া পোস্ট পড়ে শুনিয়েছি।’’ তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ‘ফেসবুকে পাওয়া’ অংশ বাদ দিয়ে বয়ানটাই তাঁর বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সতপালকে আজ চিঠি দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
ভোটের প্রচারে ধর্ম এনে কুকথা ও বিদ্বেষ ছড়ানোয় ইতিমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথ, মায়াবতী এবং মেনকা গাঁধীকে শাস্তি দিয়েছে কমিশন। তাঁদের বিরুদ্ধে দিন কয়েকের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী জয়া প্রদা সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করে বিপাকে সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। নেটিজ়েনের একটা বড় অংশ বলছেন, কুকথায় সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন সতপাল। রাহুলের ‘চৌকিদার চোর’ স্লোগানকে বিঁধতে গিয়ে সোলান শহরের জনসভায় সতপাল বলেন, ‘‘রাহুল নিজে জামিনে বাইরে। ওঁর মা ও জামাইবাবুও তা-ই। এর পরেও উনি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চোর বলেন।’’ ‘ফেসবুকে পাওয়া’ বলে রাহুলের বিরুদ্ধে ওই কদর্য ভাষা ব্যবহার করেন তিনি। যা নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। কেউ বলছেন, ‘‘এমন ‘রাস্তার ভাষা’ ভোটের ময়দানে শুনতে হবে, ভাবিনি।’’ হিমাচলের কংগ্রেস সভাপতি কুলদীপ রাঠোর জানান, কমিশনকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আজ বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। সতপাল আজ আরও সুর চড়িয়ে বলেন, ‘‘বিজেপি-শাসিত হিমাচল প্রদেশে কিছু করার নেই দেখেই এখন অপপ্রচারের রাস্তায় নেমে শোরগোল ফেলতে চাইছে কংগ্রেস।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy