জানুয়ারিতে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে পা রাখার পর পরই কটূক্তির মুখে পড়েছেন প্রিয়ঙ্কা। —ফাইল চিত্র।
ভোটের বাদ্যি বাজতেই দেশ জুড়ে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক নেতাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে কটূক্তির সংখ্যা। আক্রমণ থেকে বাদ যাচ্ছেন না মহিলারাও।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মেরঠের জনসভায় প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিজেপি নেতা জয়করণ গুপ্ত। সেখানে কারও নাম না করলেও প্রিয়ঙ্কাকে ‘স্কার্টওয়ালি বাঈ’ বলেছেন তিনি। সভায় জয়করণ বলেন, ‘‘কংগ্রেসের এক নেতা চিৎকার করে জানতে চাইছেন ‘অচ্ছে দিন’ এসেছে কি না। যখন ‘স্কার্টওয়ালি বাঈ’রা মন্দিরে যাচ্ছেন, এক সময় যাঁরা গঙ্গাকে এড়িয়ে চলতেন তাঁরাই গঙ্গাকে পবিত্র বলছেন— এ সবেও ‘অচ্ছে দিন’ দেখতে পাচ্ছেন না ওঁরা।’’
সমালোচনার মুখে পড়ে জয়করণ বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট কাউকে আক্রমণ করতে এ কথা বলিনি। আজকাল অনেককেই এ রকম করতে দেখা যায়। এই উক্তিটি যাদের সঙ্গে খাপ খায় শুধু তাদের চিনে নিতে বলেছি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জানুয়ারিতে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে পা রাখার পর পরই কটূক্তির মুখে পড়েছেন প্রিয়ঙ্কা। কখনও পোশাক নিয়ে তো কখনও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শালীনতার বেড়া ভেঙেছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। গত মাসেই উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা হরিশ দ্বিবেদী প্রিয়ঙ্কাকে নিশানা করে বলেন, ‘‘দিল্লিতে থাকলে উনি জিন্স-টপ পরেন, কিন্তু গ্রামে গেলেই শাড়ি-সিঁদুরে সাজেন।’’ বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বাঁকা মন্তব্যের মুখেও পড়েছেন প্রিয়ঙ্কা। কৈলাস বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসে কোনও শক্তিশালী নেতা নেই। তাই সুন্দরীদের এনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন।’’ পরে চাপের মুখে বিজয়বর্গীয়ের ভোলবদল, কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়, রাজনীতিতে আসা তারকাদের কথাই বলতে চেয়েছেন তিনি।
ছাড় পাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। সোমবার নাগপুরের সভায় স্মৃতিকে নিয়ে কটূক্তি করেন কংগ্রেসের জোট শরিক, মহারাষ্ট্রের পিআরপি দলের নেতা জয়দীপ কাওয়াড়ে। বলেন, ‘‘স্মৃতি ইরানি বিশাল টিপ পরেন। মোদীর (নরেন্দ্র) এই মন্ত্রী, গডকড়ীর (নিতিন) এই মন্ত্রী লোকসভায় বলেছেন, অম্বেডকরের করা সংবিধান বদলে দেবেন।...’’ সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়দীপের মন্তব্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিজেপির সমর্থকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy