Advertisement
১১ মে ২০২৪
general-election-2019-west-bengal

ত্রিপুরাকে দেখে শিখুন, সতর্ক-বার্তা মানিকের

নিজের রাজ্যে ভোট মিটে যাওয়ার পরে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে রয়েছেন ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা এবং সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।

মানিক সরকার। —ফাইল চিত্র।

মানিক সরকার। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৯ ১০:০৫
Share: Save:

প্রায় সওয়া এক বছর ধরে তাঁরা হাড়ে হাড়ে বুঝছেন! সেই অভিজ্ঞতা সামনে রেখেই বাংলাভাষী আর এক রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় এসে মানুষকে বোঝাতে চাইছেন, বিজেপিকে ‘বন্ধু’ ভাবলে ‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্ত হবে। জেনেশুনে এই বিপদ ডেকে আনবেন না। সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্তি পেতে বামপন্থীদের পাশে থাকুন, এমনই আর্জি তাঁর।

নিজের রাজ্যে ভোট মিটে যাওয়ার পরে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে রয়েছেন ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা এবং সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। দক্ষিণবঙ্গে একগুচ্ছ সভা করে তিনি বলছেন, ‘‘তৃণমূলের হাত থেকে বাঁচতে বিজেপিকে বেছে নেওয়ার ভুল করবেন না ভুলেও! ত্রিপুরার দিকে তাকান। মাত্র ১৪ মাসে তারা ত্রিপুরায় যা করেছে, তাতে তৃণমূলের সন্ত্রাসকেও ছাপিয়ে যেতে চাইছে। এদের ডেকে আনবেন না। মারাত্মক ভুল হবে। আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে!’’ সিপিএমের পলিটব্যুরোর আর এক সদস্য বৃন্দা কারাটও রাজ্যে প্রচারে এসে বলছেন, ‘‘বিষের জ্বালায় আপনারা জ্বলছেন। কোম্পানি বদলে নতুন ব্র্যান্ডের বিষ আর খাবেন না!’’

দক্ষিণ কলকাতা সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে সোমবার সভা ছিল মানিকবাবুর। বারাসত কেন্দ্রের মধ্যমগ্রামে তিনি গিয়েছিলেন রবিবার, আমতলায় ফুয়াদ হালিম এবং হরিণাভিতে বিকাশ ভট্টাচার্যের প্রচারে তাঁর যাওয়ার কথা আজ, মঙ্গলবার। প্রচারে এসে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদাহরণ দিচ্ছেন, সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে বিজেপি পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে ৯৬% আসনে বিরোধীদের প্রার্থীই দিতে দেয়নি। লোকসভা ভোটে শাসক দলের সন্ত্রাস ও বেনিয়মের চোটে একটি আসনের নির্বাচন পিছোতে হয়েছিল, অন্যটি নিয়ে পুনর্নির্বাচনের দাবি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনাধীন। রাজ্যে ১০০ দিনের প্রকল্পে ৯২ দিন কাজ হতো যেখানে, এখন তা ৪০ দিনে নেমেছে। কর্মসংস্থানের কোনও দিশা নেই। এমনকি, কবি-চিন্তাবিদদের মূর্তিও সঙ্ঘ-বিজেপির লোকজন ধ্বংস করছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ভয়াবহ পরিস্থিতির বিবরণ দিয়েই মানিকবাবুর আবেদন, ‘‘গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এমন সাংসদদের নির্বাচিত করতে হবে, যাঁরা মানুষের দাবি নিয়ে লোকসভায় লড়াই করবেন।’’

গেরুয়া শিবিরের ‘বিপদ’ সম্পর্কে সতর্ক করে বৃন্দাও বলছেন, ‘‘দেশের শত্রুরা যা ক্ষতি করেছে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করছে সঙ্ঘ-বিজেপি!’’ বামপন্থী-সহ রাজ্যের মানুষের একাংশের মধ্যে বিজেপির দিকে ঝোঁকার প্রবণতা তৈরি হয়েছে বলেই সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব এ ভাবে সতর্ক করছেন বলে রাজনৈতিক শিবিরের অনেকের মত। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বক্তব্য উল্লেখ করে বিজেপি-প্রবণতার জন্য সিপিএমকে কটাক্ষও করেছে এসইউসি-র মতো দল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE