কান্দির প্রচারসভায় মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
গোটা দেশে একশোর বেশি আসন পাবে না বিজেপি। বুধবার ভবিষ্যদ্বাণী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের সভায় তাঁর ঘোষণা, ‘‘দেশে একশো আসনও জুটবে না বিজেপির। দেশে যে নতুন সরকার গঠন হবে, মনে রাখবেন তার নেতৃত্ব দেবে তৃণমূল।’’
মঙ্গলবারেই দক্ষিণ দিনাজপুরে মমতা বলেছিলেন, ‘‘দিল্লিতে সরকার গড়বে বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশ।’’ এ দিন, জঙ্গিপুরের বড়শিমুল মাঠের সভায় তিনি বলেন, ‘‘শুনে রাখুন, বিজেপির ফেরার স্বপ্ন শেষ। সরকার গড়ার ২৭২ আসন আসবে কোথা থেকে? কংগ্রেসও একক ভাবে সরকার গড়তে পারবে না। সরকার গড়তে আঞ্চলিক দলগুলিই ভরসা। যার নেতৃত্ব দেবে তৃণমূল।’’ তাঁর দাবি, অন্ধ্র, তেলঙ্গানা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান, কর্নাটক— কোথাও ভাল ফল করবে না বিজেপি।
এ দিন ফের কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মমতা। ফিরিয়ে আনেন কংগ্রেস-আরএসএস যোগের অভিযোগ। জঙ্গিপুরে দাঁড়িয়েই কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, “জঙ্গিপুরের বনেদি মানুষ বিজেপির কাছে মাথা নত করবেন না। দেশে পায়ের তলায় মাটি সরেছে তাদের, তাই বাংলায় উঁকিঝুঁকি মারছে। কোথাও সিপিএমকে সমর্থন করছে, কোথাও কংগ্রেসকে। মনে রাখবেন জঙ্গিপুরে আরএসএস কংগ্রেসকে সমর্থন করছে।’’ কান্দির মোহনবাগান মাঠে তাঁর আক্রমণের তির এ দিনও ছিল কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর দিকে। অধীরের বিজেপি-যোগের সমর্থনে মমতার দাবি, ‘‘কই বিজেপির বিরুদ্ধে তো তাঁকে সরব হতে দেখলাম না! অভিযোগ তো তাঁর বিরুদ্ধেও কম নেই। কিন্তু বিজেপি তো সিবিআই-ইডি পাঠাল না!’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এর পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘‘তামাশা চলছে মোদীবাবুদের। অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নায়ডু, জগনদের (জগন্মোহন রেড্ডি), তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনদের, কর্নাটকে কুমারস্বামীদের হয়রান করছে। কাল তো স্ট্যালিনের বোনের বাড়িতে আয়কর রেড করেছে! অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কত অত্যাচার করেছে। মায়াবতী, অখিলশকে অত্যাচার করেছে। লালুপ্রসাদকে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে। এমন সব দেশের নেতা তৈরি হয়েছে, সকাল থেকে উঠলে মনে হচ্ছে, কখন গব্বর সিং চলে আসবে।’’
বক্তৃতার শেষ পর্বে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুর্ভাগ্যই বলব, তৃণমূল তৈরি হওয়ার পরে অনেক বার তো মুর্শিদাবাদ এলাম, অথচ আমাদের প্রতীকে চারটি মাত্র আসন জিতেছিলাম বিধানসভায়। লোকসভায় কোনও আসন পেলাম না। এ বার পাব তো!’’ উল্লাসে ফেটে পড়ল জঙ্গিপুরের মাঠ। মমতা বললেন, ‘‘ভাল লাগল শুনে, ধন্যবাদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy