মজফ্ফরপুরের সভায় রাহুল গাঁধীকে আক্রমণ করেন মোদী। ছবি: এএফপি।
‘মহাভেজাল’ জোটের নেতারা এত দিন ‘কৌন বনেগা পিএম’-এর খেলায় মেতে ছিলেন। কিন্তু চতুর্থ পর্বের ভোটের পরেই ওঁদের ‘ঘুম উড়ে গিয়েছে’। কারণ, দেশের মানুষ তাঁদের স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছেন। তাই নিজেদের মধ্যে এখন ‘লুকোচুরি’ খেলছেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকিতে ভোট প্রচারে গিয়ে এ দিন এই ভাষাতেই বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবার বিহারে পৌঁছে তাঁর দাবি, চার পর্বের ভোটে বিরোধীদের হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। কত বড় অঙ্কে তাঁরা হারবেন, পরের তিন পর্বে সেটাই ঠিক হবে।
মজফ্ফরপুরের সভায় মোদী রাহুল গাঁধীকে আক্রমণ করেন। অগুস্তা কেলেঙ্কারিতে ব্রিটিশ দালাল ক্রিশ্চিয়ান মিশেলের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওঁদের মিশেল মামাকে ধরে এনেছি। আরও অনেক চাচার খোঁজ বেরোবে, বিচারও মিলবে।’’ রাহুলকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত বারের ভোটের ফল এমন হয়েছিল যে লোকসভায় বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা পাওয়ার মতো সংখ্যাও মেলেনি ওঁদের। আর এঁরাই এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।’’ বিহারে কংগ্রেস ও আরজেডিকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর মন্তব্য, ‘‘যাঁরা জেলে বসে রয়েছেন কিংবা জেলের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, তাঁরা দিল্লিতে মজবুত সরকার চাইছেন না, অসহায় সরকার চাইছেন।’’
উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে গিয়ে অখিলেশ যাদব ও জেলবন্দি লালুপ্রসাদকে আক্রমণ করেন মোদী। অখিলেশের বাংলো থেকে জলের কল হারিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওঁর ভিতরে রয়ে গিয়েছে চুরির সমাজবাদ।’’ তাঁর দাবি, ভোটের ফল বেরোলে এসপি ও বিএসপির নেতারা একে অন্যের জামাকাপড় ছিঁড়বেন। আর আইআরসিটিসি হোটেল ও জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে লালুপ্রসাদ ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে মোদীর মন্তব্য, ‘‘ওঁদের শপিং মল আর খামার বাড়ির হিসেব দিতে হবে।’’ মোদীর মন্তব্য, ‘‘লাল বাতির ভিআইপি সংস্কৃতি আমরা শেষ করে দিয়েছি। দেশের মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি সাদা এলইডি বাল্বের আলো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy