—ফাইল চিত্র।
গাঁধী পরিবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরন্তর খোঁচার জবাব দিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার গাঁধী পরিবারকে রাজপরিবার বলে কটাক্ষ ছুড়েছিলেন টিভি সাক্ষাৎকারে। সে দিনই অযোধ্যায় এর জবাবে প্রিয়ঙ্কা মনে করিয়ে দেন, গাঁধী পরিবারই রাজপরিবারগুলির রাজন্য ভাতা বন্ধ করেছিল। ১৯৭২-এ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রপ্ত কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা সেই দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘‘আমাদের পরিবার কোনও দিন রাজা-মহারাজাদের জীবন কাটাননি। আমাদের পরিবারই রাজন্য ভাতা বন্ধ করেছিল।’’
প্রিয়ঙ্কা এই কথা বললেও আজ গাঁধী পরিবারকে দেশের ‘এক নম্বর পরিবার’ বলে দাবি করে বিতর্ক বাধিয়েছেন কংগ্রেসেরই পি সি চাকো। বিজেপি যে গাঁধী পরিবারতন্ত্রের দিকে আঙুল তোলে, কার্যত তাতেই সিলমোহর বসিয়ে চাকো বলেছেন, ‘‘গাঁধী পরিবারই দেশের প্রথম পরিবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রথম পরিবার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা প্রচার করছেন।’’
চাকো আরও বলেন, ‘‘দেশের প্রথম পরিবারের কাছে ভারত কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী মহাকাশে ভারতের সাফল্যের কথা বলছেন। কিন্তু বাস্তব তথ্য হল, আজকের ভারত জওহরলাল নেহরুর পরিকল্পনা ও নেতৃত্বের ফসল।’’ চাকোর দাবি, মোদী দেশের ইতিহাস জানেন না। স্বাধীনতার পরে নেহরু এবং গাঁধী পরিবারের অবদানের জন্য দেশ স্বনির্ভর হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অযোধ্যার একটি স্কুলে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতায় কৌশলে প্রিয়ঙ্কা আক্রমণ করেছেন বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদকেও। এই অনুষ্ঠানে প্রিয়ঙ্কা তুলে ধরেন নিজের স্বপ্নের কথা। জানান, তিনি এমন এক ভারত দেখতে চান, যেখানে কেউ কারও ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করবে না। অনুষ্ঠানে ছিলেন এক কংগ্রেস নেতা। শনিবার ওই নেতা বলেন, ‘‘এক ছাত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে চায়। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ভারত নিয়ে তাঁর একটি আবেগতাড়িত স্বপ্ন রয়েছে। তিনি এমন এক ভারত দেখতে চান, যেখানে কারও ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে না। যেখানে ‘মহিলারা পুরুষদের সমান। এখন মহিলাদের যে ভাবে দেখা হয়, ভবিষ্যতে সে ভাবে দেখা হবে না।’’
উত্তরপ্রদেশ সফরে অযোধ্যায় আসার আগে প্রিয়ঙ্কা গিয়েছিলেন রাহুল গাঁধীর কেন্দ্র অমেঠী এবং সনিয়া গাঁধীর কেন্দ্র রায়বরেলীতে। অযোধ্যায় প্রিয়ঙ্কা যান একটি মাজারে। প্রার্থনা করেছেন হনুমানগড়ি মন্দিরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy