Advertisement
১১ মে ২০২৪

রেলের টিকিটে এখনও মোদী! নালিশ তৃণমূলের

টিকিটের বিষয়টি সামনে আসায় অস্বস্তিতে রেল।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪৭
Share: Save:

ভোট ঘোষণা হয়েছে দশ দিন আগে। কিন্তু এখনও দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিটের পিছনের পাতায় জ্বলজ্বল করছেন নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের গ্রামীণ আবাস যোজনার বিজ্ঞাপন! শুনেই থ’ নির্বাচন কমিশনের কর্তারা নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছেন। রেলের কাছে এ নিয়ে জবাবদিহি চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

পাশাপাশি বিভিন্ন পেট্রল পাম্পেও মোদীর ছবি এখনও রয়ে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।

আজ তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ অন্যান্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আজকের একটি ট্রেনের টিকিট দেখিয়ে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ আনে। প্রতিনিধি দলের সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েনের দাবি, ‘‘টিকিটের কথা শুনেই নির্বাচন কর্তারা অবাক হয়ে যান। জানতে চান আজকের টিকিট না পুরনো?’’ প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্য সুখেন্দুশেখর রায় কমিশন কর্তাদের টিকিট দেখিয়ে বলেন, ওটি ১৯ মার্চের। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তৃণমূল নেতৃত্বকে পরে জবাব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কমিশন কর্তারা। একই সঙ্গে আজ বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের সব ক’টি বুথ স্পর্শকাতর বলে যে দাবি করেছে, তারও প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

টিকিটের বিষয়টি সামনে আসায় অস্বস্তিতে রেল। তাদের যুক্তি, বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ওই টিকিটের কাগজ সংগ্রহ করা হয়। পিছনে কী বিজ্ঞাপন যাবে, তা ঠিক হয়ে যায় বহু আগেই। সেই মতো পিছন পাতায় ছাপানো বিজ্ঞাপন-সহ টিকিটগুলি পৌঁছে যায় বিভিন্ন টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে। সামনের পাতা ফাঁকা থাকে যাত্রী বিবরণের জন্য। রেলের মতে, বর্তমানে যে কাগজের রিল টিকিট ছাপার ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে, সেগুলির বরাত গিয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। সে সময়ে নির্বাচনী আচরণ বিধি ছিল না। তাই সরকারি বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে। তা ছাড়া ওই টিকিটগুলি ঠিক ভোটের সময়েই ব্যবহার হবে, তা-ও রেলের পক্ষে আগে থেকে বোঝা সম্ভব ছিল না।

রেলের পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, বহু পেট্রল পাম্পে এখনও মোদীর ছবি রয়ে গিয়েছে। বহু স্থানে সরকারি বিজ্ঞাপন ঢাকা না পরায় চোখে পড়ছে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের ছবি। একই অভিযোগ উঠেছে নেট দুনিয়াতেও। রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন সরকারি দফতরের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পুরোনো কিছু পোস্ট রয়ে গিয়েছে। যেগুলি মূলত সরকারের প্রচার। ভোট ঘোষণার পরে দলীয় সমর্থকদের অনেকেই সেগুলি নিজেদের দেওয়ালে প্রচার করছেন। যা পরোক্ষে শাসক শিবিরেই প্রচার। অভিযোগ উঠেছে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের টুইট নিজেদের অ্যাকাউন্টে রিটুইট করে প্রচার করেছে রেল মন্ত্রক। অস্বীকার করে রেল বলেছে, রেলমন্ত্রীর সরকারি ও ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট কোনটি থেকে প্রচার হয়েছে, তা দেখতে হবে।

সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, নেট দুনিয়ায় সরকারি দফতরের নামে অনেক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকেও সরকারের প্রচার চালানো হয়। সেগুলি নিয়ে কমিশন কোনও কড়া পদক্ষেপ করে কি না, তাও দেখার। সাইবার আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের মতে, কোনও ফ্লেক্স বা পোস্টার কোনও বিধির আওতায় পড়লে, সোশ্যাল মিডিয়াতে ওই একই বিষয়ের ছবি বা পোস্ট একই বিধির আওতায় পড়া উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE