প্রতীকী ছবি।
দিল্লির নির্দেশে বাংলায় বামেদের সঙ্গে সমঝোতার পথে এগিয়েছিল কংগ্রেস। মাঝপথে থমকে যাওয়া সেই সমঝোতার জট নিয়ে ফের দিল্লিরই দ্বারস্থ হল বাংলার কংগ্রেস। প্রথম দফার ভোটের মনোনয়নের দিন এগিয়ে এলেও সমঝোতা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে ফের বড় রকমের সংশয় দেখা দিল।
এআইসিসি-র দেওয়া রফাসূত্র অনুযায়ী রাজ্যে ১৭টি আসন চেয়ে দর কষাকষি শুরু করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত সিপিএমের সঙ্গে আলোচনায় ১১টির (গত বারের জেতা চারটি ধরে) বেশি আসন পাওয়ার আশ্বাস কংগ্রেস পায়নি। জট বেশিরভাগই বাম শরিকদের ভাগের আসন নিয়ে, কোথাও কোথাও আবার বিবাদ সরাসরি সিপিএমের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব আলোচনা করে ঠিক করেছেন, আগের বারের জেতা আসনের বাইরে মাত্র সাতটি আসন নিয়ে সমঝোতা করা সম্ভব নয়। রফার পথে আর এগনো হবে কি না, তার জন্য এআইসিসি-র নির্দেশিকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। যদিও তিনি নিজে মীমাংসার খোঁজে সিপিএমের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী।
রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদ কংগ্রেস ছাড়ছে না দেখে সিপিএম ওই দুই আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছিল। তাতে কাজও হয়েছিল। এখন কংগ্রেসের পাল্টা কৌশল, ‘মর্যাদা খুইয়ে’ তারা আর সমঝোতায় আগ্রহী নয়, এই বার্তা দিয়ে বামেদের সুর নরম করানোর চেষ্টা করা। প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘যে সাতটি আসন আমাদের দেওয়ার কথা বলছে বামেরা, তার মধ্যে চারটিই বিতর্কিত। দার্জিলিং এবং বীরভূমে প্রার্থী ঠিক করে দেবে বামেরাই। বসিরহাট এবং পুরুলিয়া দুই বাম শরিক ছাড়বে না। আমরা প্রার্থী দিলে সিপিএম তাদের সমর্থন করবে কি না, সেটাও স্পষ্ট করে বলবে না। এই রকম অদ্ভুত শর্তে জোট হয় না!’’ সিপিএমের পলিটব্যুরোর এক সদস্য অবশ্য এ দিন রাতে বলেন, ‘‘দলের রাজ্য সম্পাদক বিষয়টি নিয়ে সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে কথা বলবেন। এখনও চেষ্টা চালানো হবে জট খোলার।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সন্ধ্যার বৈঠকের আগে দুপুরে অবশ্য দলের সংখ্যালঘু শাখার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সোমেনবাবু বলেছিলেন, ‘‘যে কোনও সংখ্যায় আসন দিলেই তো আমরা তাতে রাজি হয়ে যেতে পারি না। মানুষ চান, তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তির জোট হোক। আমরা শেষ পর্যন্ত আলোচনা চালাব। দেখা যাক কী হয়!’’
সন্ধ্যার বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতারা ঠিক করেছেন, তাঁরা এখন আর নিজে থেকে সিপিএমের সঙ্গে কথা বলতে যাবেন না। জট পেকে রয়েছে জলপাইগুড়ি না আলিপুরদুয়ার, শ্রীরামপুর না আরামবাগ, মেদিনীপুর না ঝাড়গ্রাম— এই নিয়ে টানাটানিতেও। সমঝোতা না হলে কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ আসনে প্রার্থী দিয়ে দেবে। শনিবার কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy