ব্যবসায় প্রথম স্ত্রীর অনুমোদন থাকলেও দ্বিতীয় স্ত্রীর তা ছিল না।
অনেক দিন ধরেই চলছিল কারবার। দর্শকদের থেকে পয়সা নিয়ে দুই স্ত্রীয়ের সঙ্গে যৌনতার লাইভ স্ট্রিমিং করছিল মধ্যপ্রদেশের এক যুবক। রোজগারও হচ্ছিল ভাল। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রী পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরে গ্রেফতার করা হয়েছে বছর ২৪-এর ওই যুবককে।
গত শনিবার গ্রেফতার করা ওই যুবকের পরিচয় জানায়নি পুলিশ। তবে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অনেক দিন ধরেই এই অবৈধ কারবার চালাচ্ছিল সে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করলেও ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ওই যুবক। বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কী ভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, সে ব্যাপারেও পারদর্শী। সেই জ্ঞান কাজে লাগিয়েই এই ব্যবসা শুরু করে সে। লাখ লাখ টাকা আয়ও করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক বিভিন্ন অ্যাপে নির্দিষ্ট 'ডিপি' লাগাত। যারা ওই ডিপি দেখে লাইক দিত তাদের কাছেই চলে যেত মেসেজ। সেই মেসেজে যৌনতার লাইভ স্ট্রিমিং দেখার 'মেনু' পাঠানো হত। তাতে থাকত বিভিন্ন রকম খরচের তালিকা। ডেমো দেখার জন্য নেওয়া হত ১০০ টাকা। এর পরে ৫০০, ৭০০, ১০০০ টাকার আলাদা আলাদা প্যাকেজ ছিল। 'মুখ ঢাকা' অথবা 'না ঢাকা' শো অনুযায়ী আলাদা আলাদা খরচ দিতে হত দর্শকদের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই কারবার থেকে যুবকের দৈনিক আয় ছিল ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। গত ২৮ অগস্ট খোলা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এর মধ্যে প্রায় ৬ লাখ টাকা জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক উড়ানে বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়াল ডিজিসিএ
তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বিকাশ পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধৃত যুবকের দুই স্ত্রী। দু'জনকেই ব্যবসার জন্য ব্যবহার করত সে। প্রথম স্ত্রীর বাড়ি ছিল বেঙ্গালুরুতে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁকে বিয়ের পরে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা আরও একটি মেয়েকে গোপনে বিয়ে করে ওই যুবক। পুলিশের বক্তব্য, এই ব্যবসায় প্রথম স্ত্রীর অনুমোদন থাকলেও দ্বিতীয় স্ত্রীর তা ছিল না। প্রথম স্ত্রীকে ভবিষ্যতে ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে যৌনতার লাইভ স্ট্রিমিং-এ রাজি করিয়ে নেয় যুবক। প্রথম স্ত্রী এখন সাত মাসের গর্ভবতী। অন্য দিকে, দ্বিতীয় স্ত্রীয়ের উপরে জোর খাটিয়েই এই কাণ্ড চালাচ্ছিল যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীদের ব্যবহার করে যৌনতার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে টাকা রোজগারের বিষয়টি জেরায় স্বীকারও করেছে ওই যুবক। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ডিজিটাল মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিয়ো ছড়ানো-সহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। তার মোবাইল ফোন, ব্যাঙ্কের নথি ইত্যাদি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রায় ১২ লাখ টাকার গয়নাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy