মনমোহন জানিয়েছেন, রোজগারের সুযোগ হ্রাস, কৃষি সঙ্কট, বিভাজন-শক্তি দেশে কাজ করছে। ছবি: পিটিআই।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জেরে দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে পাকিস্তান বিরোধী ক্ষোভ।
কৃষি সঙ্কট, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলি যেন সেই রোষানলে চাপা না পড়ে, তা নিয়ে সতর্ক কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। ছত্তীসগঢ়ে গত কাল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী যা করেছিলেন, আজ নয়াদিল্লিতে তাই করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
দিল্লি স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের অনুষ্ঠানে মনমোহন জানিয়েছেন, রোজগারের সুযোগ হ্রাস, কৃষি সঙ্কট, বিভাজন-শক্তি দেশে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘‘এত দিন মূল সমস্যা ছিল বৃদ্ধি সত্ত্বেও কাজের সুযোগ তৈরি না হওয়া। এখন তা আরও বড় হয়ে ব্যাপক কাজ হারানোর সমস্যায় পরিণত হয়েছে। নোটবাতিল, জিএসটির ফলে ছোট ও অসংগঠিত ক্ষেত্রেও দুর্দশা। যা আগে রোজগার দিত। অর্থনীতির মোড় ঘোরাতে সুসংহত নীতি প্রয়োজন।’’
পুলওয়ামাতে জওয়ানদের হত্যায় দেশ জুড়ে ক্ষোভের আগুন। কংগ্রেস বুঝতে পারছে, ওই আবেগের আড়ালে বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবার সুকৌশলে জাতীয়তবাদের তাস খেলছে। সরকারি অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিত্যদিন জাতীয়তাবাদকে উস্কে দিচ্ছেন। তাতে ঢাকা পড়ছে বেকারত্ব, কৃষি সঙ্কট, দুর্নীতির মতো বিষয়গুলি।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর রাহুল ঘোষণা করেছিলেন, কংগ্রেস জওয়ানদের পরিবারের পাশে রয়েছে। এমনকি, সরকারও যা পদক্ষেপ করবে, কংগ্রেস তা সমর্থন করবে। কিন্তু কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, ভোটের মুখে আসল সঙ্কট থেকে যেন দৃষ্টি সরে না যায়। তাতে লাভ মোদীরই। ফলে ধাপে ধাপে রাজনৈতিক আক্রমণের পারদও চড়ানো প্রয়োজন।
রাহুল গত কালই ছত্তীসগঢ়ে সরকারের যাবতীয় ব্যর্থতার বিষয় উত্থাপন করেছেন। ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ বিকল হওয়া নিয়েও তিনি টুইট করে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। ওই বিষয় নিয়ে গত কালের পর রাহুলকে আজও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ আক্রমণ করেছেন, ইউপিএ আমলে রায়বরেলীর কোচ কারখানার প্রসঙ্গ তুলে। তাতে ঘরোয়া মহলে কংগ্রেস কিছুটা খুশিই। কারণ, এই ধরনের বিতর্কই আবার ফেরাতে চাইছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy