মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজধানী লখনউ এবং দিল্লি লাগোয়া নয়ডার বিভিন্ন জায়গায় নিজের একাধিক মূর্তি বসিয়েছেন তিনি। একই ভাবে বসানো হয়েছে দলের নির্বাচনী প্রতীক হাতির অসংখ্য মূর্তি। আর এ সবই হয়েছে সরকারি কোষাগারের টাকায়। এ বারে সেই টাকাই নিজের পকেট থেকে শোধ করতে হবে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকে। আজ এই সংক্রান্ত এক মামলায় এই রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, এটা তাদের প্রাথমিক মতামত। এ নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে ২ এপ্রিল। বিষয়টি যে হেতু সর্বোচ্চ আদালতের বিচারাধীন, তাই বিএসপি-র তরফে সরকারি ভাবে মুখ খোলা হয়নি। তবে জানানো হয়েছে, এপ্রিলের আগেই আদালতে এ নিয়ে পাল্টা যুক্তি পেশ করা হবে।
২০০৯-এ রবিকান্ত নামে এক আইনজীবী অভিযোগ করেন, কোটি কোটি টাকায় দলের প্রতিষ্ঠাতা কাঁসিরাম, নিজের এবং দলের নির্বাচনী প্রতীক হাতির মূর্তি বসিয়েছেন মায়াবতী। যা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।
২০১২-র বিধানসভা ভোটের আগে হাতি এবং মায়াবতীর মূর্তিগুলি ঢেকে দিতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই মামলা ফিরল লোকসভা ভোটের মুখে। সূত্রের খবর, বিএসপি-র আইনজীবী তথা দলের লোকসভার সাংসদ সতীশ মিশ্র বেঞ্চের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, শুনানি মে মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দিতে। কিন্তু বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ জানিয়েছে, তা সম্ভব নয়। অর্থাৎ এপ্রিলের ভরা ভোট বাজারেই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে।
ঘরোয়া ভাবে বিএসপি শিবিরের বক্তব্য, হাতি শুধু তাদের দলের নয়, বৌদ্ধ এবং দলিতদেরও প্রতীক। ১৯৫১ সালে অম্বেডকর বলেছিলেন, ‘‘হাতি হল ধৈর্য্য, পরিশ্রম এবং মেধার প্রতীক। তাই তফসিলি জাতি ফেডারেশনের প্রতীক হিসেবে হাতিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’’ সুপ্রিম কোর্টে এ সবই জানাতে চায় তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy