Advertisement
০২ মে ২০২৪

মার্কিন কর্তার সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীর-কথা

বৈঠকের পরে টুইট করে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ‘‘দু’দেশের কৌশলগত সম্পর্ক যাতে একটি বিন্দুতে গিয়ে মেশে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০৩:২০
Share: Save:

কৌশলগত সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে বসলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং মার্কিন উপবিদেশসচিব জন সালিভান। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, আলোচনায় উঠে এল জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রসঙ্গটিও। আজকের বৈঠকে সাউথ ব্লকের পক্ষ থেকে মার্কিন কর্তার কাছে কাশ্মীরে উন্নয়নের বার্তা বিশদে তুলে ধরেছেন। এখনও পর্যন্ত আমেরিকা কাশ্মীর সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিয়ে কোনও পক্ষ নেয়নি। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, নিরাপত্তা এবং সুস্থিতি বজায় রাখার প্রশ্নে নয়াদিল্লির সঙ্গে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে আমেরিকার পক্ষ থেকে। মোদী সরকারের কাশ্মীর নীতি নিয়ে সিদ্ধান্তের ফলে তাদের ভারত-নীতির যে কোনও রকম বদল হবে না, সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

বৈঠকের পরে টুইট করে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ‘‘দু’দেশের কৌশলগত সম্পর্ক যাতে একটি বিন্দুতে গিয়ে মেশে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’ বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কী ভাবে আন্তর্জাতিক আইনের শাসন বলবৎ থাকতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সালিভান এবং জয়শঙ্করের মধ্যে। সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রী মার্কিন কর্তাকে জানিয়েছেন যে কাশ্মীরের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ করে তুলতে পাকিস্তান সক্রিয়। সেখানকার মানুষের দেশের বাকি অংশের মতো সুযোগসুবিধা দেওয়ার জন্য

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু এর পরে উপত্যকায় সন্ত্রাসের ইন্ধন জোগাবে পাকিস্তান, এমনটাই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। ভারতের এই উদ্যোগ যে পাক মদতপ্রাপ্ত জঙ্গি সংগঠনের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে, সে কথা জানানো হয়েছে আমেরিকাকে। এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের উপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE