অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও আজ থেকেই চালু হয়ে গেল দিল্লি মেট্রোর বর্ধিত ভাড়া। যথারীতি ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নেমেছে কেজরীবাল সরকার। আর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবেই এই লড়াইয়ে তারা পাশে পেয়েছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-কে। পড়ুয়াদের স্বার্থে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আন্দোলন চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এবিভিপি নেতৃত্ব।
কলকাতা ছাড়া যেখানেই মেট্রো রেল রয়েছে, তার মালিকানা নগরোন্নয়ন মন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের হাতে। সেই অর্ধেক মালিকানার দাবিদার হিসেবেই মেট্রোর ভাড়া না বাড়াতে কেন্দ্রের কাছে গত কাল অনুরোধ করেছিল আপ সরকার। প্রয়োজনে ভর্তুকি দেওয়া, এমনকী মেট্রো চালানোর দায় নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ারও প্রস্তাব দেন কেজরীবাল। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে আজ থেকেই বর্ধিত ভাড়া চালু হয়েছে দিল্লি মেট্রোতে।
দিল্লি বিধানসভায় আজ একটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছে কেজরীবালের সরকার। পরে বিধানসভার স্পিকার রামনিবাস গয়াল ভাড়া না বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরির কাছে আবেদন জানান। দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার অভিযোগ, ‘‘ওলা-উবেরের মতো পরিবহণ সংস্থাগুলিকে ফায়দা পাইয়ে দিতেই মেট্রোর মতো গণপরিবহণে ভাড়া বাড়িয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।’’
কেজরীর আন্দোলন প্রত্যাশিত। কিন্তু এবিভিপিকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কারণ, সংগঠনের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্তে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছাত্রছাত্রীরা। তাদের জন্য অবিলম্বে মান্থলি চালু হোক। এবিভিপি-র সাকেত বহুগুণা বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠন পড়ুয়াদের স্বার্থে কাজ করে। এ ব্যাপারে আমরা যে কোনও কারও সঙ্গে টক্কর দিতে রাজি।’’ তবে অনেকেই মনে করছেন, ভাড়া বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতার রাশ যাতে শুধু কেজরীর হাতে না থাকে, সে জন্যই পথে নেমেছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন।
কেন্দ্র জানিয়েছে, গত আর্থিক বছরে মেট্রোর প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার ঘাটতি হয়েছে। সম্প্রসারণের জন্যও ঋণ নেওয়া হয়েছে ৩৪ হাজার কোটি। এই পরিস্থিতিতেই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy