Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিহারের স্বার্থে আলোচনায় মোদী-নীতীশ

চরম রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকা সত্ত্বেও বিহারের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নীতীশ তাঁকে জানালেন, চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে চললে বিহারের ৫০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। কেন্দ্রকে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন নীতীশ। মোদী যখন লোকসভা ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে, তখনই বিহারে দলের হারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন নীতীশ। সুতরাং তাঁদের দেখা হওয়ার সুযোগও ছিল না।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৫ ০৩:৫৯
Share: Save:

চরম রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকা সত্ত্বেও বিহারের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নীতীশ তাঁকে জানালেন, চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে চললে বিহারের ৫০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। কেন্দ্রকে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন নীতীশ।

মোদী যখন লোকসভা ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে, তখনই বিহারে দলের হারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন নীতীশ। সুতরাং তাঁদের দেখা হওয়ার সুযোগও ছিল না। তবে এরই মধ্যে লালুপ্রসাদের মেয়ের সঙ্গে মুলায়ম সিংহ যাদবের নাতির বিয়ের এক অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হন মোদী-নীতীশ। দু’জনের মধ্যে শিষ্ঠাচার বিনিময় হয়। একে অপরের সঙ্গে হাতও মেলান। তারপর আজ প্রথম সরকারি পর্যায়ে পরস্পর পরস্পরের মুখোমুখি হলেন।

গত ২৩ মার্চ অর্থ কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিশদে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ পটনায় একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর একদা জোট সঙ্গী বিজেপিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব সেই বৈঠক বয়কট করেছিলেন। প্রসউল্লেখ্য, বিজেপি-র সঙ্গে নীতীশের ১৭ বছরের গাঁটছড়া ছিন্ন হওয়ার এক ও একমাত্র কারণই ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। মোদীকে তৎকালীন এনডিএ জোটের প্রধান শরিক বিজেপি তাদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পরেই নীতীশ বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। সেই কারণেই মোদীর সঙ্গে নীতীশের বৈঠক নিয়ে এ দিন রাজধানীতে জল্পনা ছিল তুঙ্গে।

বৈঠক সেরে নীতীশ বলেন, “অর্থ কমিশনের সুপারিশের ফলে রাজ্যের যে ৫০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হবে তা কেন্দ্র সরকারকে পূরণ করে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি জানিয়ে গেলাম।” এ ছাড়াও বিহারের জন্য বিশেষ সহায়তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন নীতীশ। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে এই বৈঠককে ‘সৌজন্যমূলক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE