নোট-বাতিল নিয়ে বিরোধী ঝড় সামাল দিতে ইটের বদলে পাটকেল নীতি নিচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরীবালদের চাপে ফেলতে নোট-বাতিলের সমর্থক মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গড়বে কেন্দ্র। এই নয়া জোটই বিরোধীদের ‘বধ’ করবে বলে আশা মোদী সরকারের।
আজ সকালে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। প্রস্তাবিত কমিটিতে পাঁচ-ছয় জন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাখা হতে পারে কয়েক জন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকেও। কমিটির মাথায় চন্দ্রবাবু নায়ডুর মতো অ-বিজেপি একজন মুখ্যমন্ত্রীকে চান প্রধানমন্ত্রী। সেই মতো চন্দ্রবাবুকে এ দিন ফোন করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। নীতীশ কুমারের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। নবীন পট্টনায়কও নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। নবীন-নীতীশের পাশাপাশি কংগ্রেসের কোনও মুখ্যমন্ত্রীকেও কমিটিতে চাইছেন মোদী। নীতি আয়োগের অধীনে মুখ্যমন্ত্রীদের একটি সাব-কমিটি আজ দুপুরের মধ্যেই ঘোষণা করার কথা ছিল। বিজেপি সূত্রের মতে, এমন মুখ্যমন্ত্রীদের বাছাই করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাঁরা তথ্য-প্রযুক্তিতেও দড়। সেই হিসেবে পুডুচেরীর কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীর নাম ওঠে। কিন্তু রাত পর্যন্ত কোনও নামই চূড়ান্ত হয়নি।
কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীদের কমিটি গড়ে বিরোধী জোটে ফাটল ধরাতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।’’ বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, বিরোধীরা প্রকাশ্যে একজোট দেখাতে চাইলেও তাদের মধ্যে বিস্তর মতপার্থক্য। আজও বিরোধীদের বৈঠকে কংগ্রেস-বাম যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি জানালে তৃণমূল তা খারিজ করেছে! রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সাংসদরা আজ সংসদের গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না দিয়েছেন। বামেরা সেখানে থাকলেও তৃণমূল যায়নি। তৃণমূল অবশ্য জানিয়েছে, সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় মিছিল করছিলেন। তবুও তাদের এক সাংসদ সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন। সপা বিরোধিতা করলেও তাদের নেতা অমর সিংহ নোট বাতিল নিয়ে মোদীর প্রশংসা করছেন! আর দেশজুড়ে বিরোধীদের প্রতিবাদ দিবসের দিন আজ সংসদে এলেনই না জেডি (ইউ)-র শরদ যাদব। যিনি ক’দিন আগেও যন্তরমন্তরে মমতার সভায় গিয়েছিলেন।
বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত শর্মার কথায়, ‘‘আজ বিরোধীদের প্রতিবাদ ‘ফ্লপ’ হয়েছে। মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের খারিজ করে প্রধানমন্ত্রীর উপরে আস্থা রেখেছে। রাহুল গাঁধী নিজে দুর্নীতি মামলায় জামিনে রয়েছেন। মমতা সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে, সমাজবাদী পার্টি মাফিয়াদের হাতে নিয়ন্ত্রিত, মায়াবতী দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে। এঁরাই প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন!’’
ত্রাণের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা: নোট বাতিলের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিও নিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু সোমবার কংগ্রেস প্রশ্ন তুলল, এ ব্যাপারে শুধু সমাবেশ করেই কেন ক্ষান্ত থাকবে শাসক দল। বরং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, নোট সংকট থেকে আপাতত সুরাহা দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের কিছু অর্থ সাহায্য করুক রাজ্য। কংগ্রেসের এই প্রস্তাবে সুর মিলিয়েছেন বামেরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy