কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
সুযোগ পেলেই তিনি শিব মন্দিরে যান, শিবারাত্রিতে টুইটও করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে গিয়ে তাঁর জীবনে ‘ভোলে বাবা’র ভূমিকার কথা স্মরণ করবেন না, তা তো হতে পারে না! আজ কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা এবং সেখানকার সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের শিলান্যাস করতে গিয়ে তেমনটাই ঘটালেন মোদী।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে আজ পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ওই মন্দিরের উন্নয়নের জন্য কাজ করা, তাঁর কাছে তৃপ্তির। বহুদিন ধরেই তাঁর স্বপ্ন ছিল ওই মন্দিরের জন্য কিছু করার। রাজনীতিতে যোগদানের আগে তিনি একাধিক বার কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে গিয়েছেন। তখনই তাঁর মনে হত, এই জায়গার জন্য কিছু করা উচিত। মোদীর কথায়, ‘‘ভোলে বাবাই ঠিক করেছিলেন আমি এখানে আসি। বলেছিলেন, তুমি (মোদী) অনেক কথা বলো। এ বার এখানে এসো, কিছু করো।’’
ওই অনুষ্ঠানে বিরোধীদের নিশানা করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ওই এলাকার সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের কাজ আগেই শুরু হয়ে যেত। কিন্তু বিগত সমাজবাদী পার্টির সরকারের অসহযোগিতার কারণে কাজ শুরুতে দেরি হল। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকার জবরদখলকারীদের নিয়েও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রথমবার আমরা সংলগ্ন বাড়িগুলি অধিগ্রহণ করেছি। মন্দিরের সামনে থেকে জবরদখল উচ্ছেদ করা হয়েছে।’’
অনুষ্ঠান শুরুর আগে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের এলাকা ঘুরে দেখেন মোদী। গত লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী থেকে প্রার্থী হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি এখানে আসিনি, আমাকে ডেকে আনা হয়েছে।’’ ‘ভগবান শিব’-এর ডাকে সাড়া দিয়েই তিনি যে বারাণসীর উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তা-ও বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন মোদী।
আরও পড়ুন: প্রকল্পই শেষ হয়নি, সূচনা বিতর্কে মোদী
শিলান্যাস অনুষ্ঠানে শিব-মাহাত্ম্যের কথা উল্লেখের পিছনে ‘অন্য রাজনীতি’ দেখছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীও বিভিন্ন শিবমন্দিরে যাচ্ছেন, নিজেকে শিবভক্ত বলছেন। যা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে বিজেপির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy