নির্মলা সীতারামন
বিজেপির জাতীয় সম্মলেনের দ্বিতীয় দিনে নির্মলা সীতারামন আজ দাবি করলেন, ২০১৪ সালের পরে দেশে তেমন বড় কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়নি। দলীয় সভায় নরেন্দ্র মোদীর ঢাক পেটাতে গিয়ে খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই মন্তব্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। কংগ্রেসের নেতারা বলছে, রাফালে মুল প্রশ্নগুলি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এখন তো নির্মল অসত্য বলছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী! বিড়ম্বনা এড়াতে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন বিজেপির নেতারা। এমন মিথ্যা ঢাকার পথ পাচ্ছেন না।
মোদী জমানায় ঘটা এক গুচ্ছ জঙ্গি হামলার কথা তুলে ধরে নেট-সমাজে ছড়াচ্ছে কটাক্ষ ও বার্তা। ছোটখাটো ঘটনাগুলিকে কাটছাঁট করে জঙ্গির হানার তালিকা তুলে ধরছে সংবাদমাধ্যমও। স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০১৫-র জুলাইয়ে জম্মু-কাশ্মীরের অদূরে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে জঙ্গি হানায় এক পুলিশ সুপার-সহ সাত জনের মৃত্যুর ঘটনা। এর পরে ২০১৬-র জানুয়ারিতে পঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা তো গোটা দেশে শুধু নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও চাঞ্চল্য তৈরি করেছিল। বিবৃতি দিতে হয় খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। পঠানকোটে ওই ঘাঁটিতে এসে তদন্তও করে যান আইএসআই কর্তা। তার অনুমতি দেওয়ার জন্য বিরোধী এমনকি শিবসেনার মতো শরিকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদীকে। ‘‘নির্মলা কি সবই ভুলে গেলেন?’ প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী শিবিরের এক নেতা।
পরে ২০১৬-রই অগস্টে অসমের কোকরাঝারে ১৪ জন নাগরিককে খুন করে জঙ্গিরা। পরের মাসে আর এক বড় আঘাত জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে সেনা ছাউনিতে জয়েশ জঙ্গিদের হামলা। মোদী যার পরে ‘জবাব’ দেওয়ার শপথ ঘোষণা করেন। সার্জিকাল স্ট্রাইক হয়। যা নিয়ে একটি চলচ্চিত্রও সবে মুক্তি পেয়েছে। ঘটনাহীন ছিল না ২০১৭-ও। সে বছর জুলাইয়ে অমরনাথ দর্শন সেরে ফেরার পথে পুণ্যার্থীদের বাসে হামলা হয় অনন্তনাগে। সাত জন মারা যান। ‘ব্যথিত’ প্রধানমন্ত্রী টুইটও করেছিলেন তা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, নির্মলা কি মনে করেন এগুলি ‘তেমন বড়’ জঙ্গি হামলা নয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy