ফাইল চিত্র।
ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি হওয়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট এখনও পেশ হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রকাশ্যে চলে এলে চরম অস্বস্তিতে পড়বে মোদী সরকার— এই আশঙ্কাতেই চেপে রাখা হয়েছে ওই রিপোর্ট। তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক একাধিক চিনা অনুপ্রবেশের তথ্য সামনে চলে আসায় যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, উহানে দীর্ঘ ঘরোয়া সংলাপ এবং সীমান্ত নিয়ে রাজনৈতিক স্তরে আলোচনার পরেও কেন ভারতকে নিরাপত্তার প্রশ্নে সমঝোতা করতে হচ্ছে?
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্র জানাচ্ছে, গত মাসে চিনা সেনা (পিএলএ) অন্তত তিন বার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার বারৌতি গ্রামের অদূরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এক বছর আগে ঠিক একই জায়গা দিয়ে পিএলএ প্রায় ১ কিলোমিটার ঢুকে এসেছিল ভারতীয় ভূখণ্ডে। ২০১৩ সালে ও তার পরের বছর আকাশপথেও এই একই এলাকা দিয়ে পিএলএ সীমালঙ্ঘন করেছিল।
নর্দান কম্যান্ডের কম্যান্ডার-ইন-চিফ লেফটেন্যান্ট রণবীর সিংহ আগেই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে যে জায়গায় আমাদের মতপার্থক্য রয়েছে, সেই সব জায়গাতেই সেনা অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে চিন।’’ কূটনৈতিক শিবিরের মতে, বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর করার জন্য নয়াদিল্লি কোমর বেঁধে নামলেও চিন কিন্তু ভারত-নীতির প্রশ্নে নিজেদের পথেই চলছে। মাত্র পনেরো দিন আগেই দু’দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ স্তরে কথা হয়েছে। দু’দেশের মন্ত্রকের মধ্যে হটলাইন বসানো, ১২ বছরের পুরনো প্রতিরক্ষা চুক্তিকে নতুন করে ঝালিয়ে নেওয়ার মতো বিষয়কে পারস্পরিক আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরেছে দু’দেশ। তার থেকেও বড় কথা, উহানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফি্ং-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংলাপের পরে ঘোষণা হয়েছিল, ভারত এবং চিনের সামরিক বাহিনীর জন্য বিশেষ এক সমন্বয় কাঠামো তৈরি হবে। কিন্তু বেজিংয়ের মুখে এক, সীমান্তে অন্য নীতি নিয়ে চলার বিষয়টি ক্রমশই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে মোদী সরকারের— এমনটাই মনে করছেন ভারতের কূটনীতিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy