ছবি- পিটিআই
বিজয় মাল্য, নীরব মোদীরা একের পর এক বিদেশে গা ঢাকা দেওয়ায় পলাতক আর্থিক অপরাধী বিল এনে মুখরক্ষার চেষ্টা করেছিল মোদী সরকার। আজ লোকসভায় সেই বিল পাশ হলেও প্রশ্ন উঠল, চোর পালানোর পর এখন বুদ্ধি দেখিয়ে লাভ কী হবে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিলের পুরোটাই আসলে চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা।
ললিত মোদী, নীরব মোদী, বিজয় মাল্যদের বিদেশে পালানোর পিছনে সরকারি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করেন, ‘‘সবটাই মোদী সিন্ডিকেটের কাজ!’’ তাঁর কথায়— এই বিলে বলা হয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা হলে এই আইনে ব্যবস্থা হবে। কেন তার কম টাকার প্রতারণায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? আইনে বলা হচ্ছে, এ দেশের আদালত বিদেশে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিতে পারে। তা কি বাস্তবে কার্যকর করা সম্ভব? সাংসদ বলেন, ‘‘এখন মানুষ ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে ভয় পাচ্ছেন।’’
অন্য বিরোধী দলের নেতাদেরও দাবি, আইন চালুর আগের অপরাধেও এই আইন বলবৎ হোক। ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের যুক্তি, তা সম্ভব না-হলেও, অপরাধীদের ফেরানোর চেষ্টা হবে। কল্যাণ বলেন, ‘‘আপনি কত দিন অর্থমন্ত্রী থাকবেন জানি না। তবে আপনার জমানায় অপরাধীদের ফেরাতে পারলে আপনার প্রশংসাই করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy