কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ছবি পোড়াচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।—ছবি এএফপি।
শবরীমালাকে কেন্দ্র করে শনিবারও হিংসা ছড়াল কেরলে। লাগাতার এই হিংসার দায় এ দিন এলডিএফ সরকারের ঘাড়েই চাপিয়েছে বিজেপি। দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র জিভিএল নরসিংহ রাও দাবি করেন, আরও সংবেদনশীল ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা দরকার ছিল। তা না করায় ভক্তদের আঘাত লেগেছে। এক ভক্তের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, শবরীমালা হিন্দুত্বের বিষয়। বিজেপির বিষয় নয়।
বৃহস্পতিবার হরতালে অশান্তির জন্য বিজেপি ও আরএসএস-কে দায়ী করেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এ দিন দিল্লিতে রাওয়ের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকারের মদতে সিপিএমের গুন্ডারাই এ সব করছে। আরএসএস-বিজেপি কর্মীদের মারধরের ইতিহাস রয়েছে সিপিএমের। এখন ভক্তদেরও ছাড়ছে না।’’ তাঁর দাবি, বিজয়নের কান্নুর এই হিংসার ‘এপিসেন্টার’।
‘শুদ্ধকরণ’ প্রক্রিয়া চালানোর জন্য এ দিন শবরীমালা মন্দিরেরর প্রধান পুরোহিত (তন্ত্রী) কান্ডারারু রাজীবারুকে ‘ব্রাহ্মণ দানব’ বলে আক্রমণ করেছেন কেরলের পূর্তমন্ত্রী ও সিপিএম নেতা জি সুধাকরন। কোচিতে তিনি বলেন, ‘‘জাতপাতের অভিশাপের প্রতীক ওই তন্ত্রী। তিনি ব্রাহ্মণ নন, ব্রাহ্মণ দানব।’’ ওই পুরোহিতকে আগেই শো-কজের চিঠি পাঠিয়েছে ত্রিবাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ড।
শনিবারও বিজেপি-আরএসএসের সঙ্গে সিপিএমের সংঘর্ষে অশাম্তি ছড়িয়েছে কান্নুরে। বিভিন্ন দোকান এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ঝামেলা হয়েছে কোঝিকোড় মাল্লাপুরম, থালাসোর-সহ কেরলের বিভিন্ন জায়গায়। বিভিন্ন দোকান এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বোমাবাজি হয় বিভিন্ন এলাকায়। পারিয়ারাম এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় আরএসএস-এর দফতরে। এ দিন থালাসোরে রুট মার্চ করে পুলিশ।
ঝামেলা শুরু হয় শুক্রবার রাত থেকেই। পুলিশ জানায়, শুক্রবার মধ্যরাতে কেরলের বিভিন্ন জায়গায় বোমা ছোড়া হয়। বোমা ছোড়া হয় সিপিএম বিধায়ক এ এন শামসির, সিপিএম নেতা পি শশী ও বিজেপি নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ ভি মুরলীধরনের বাড়ি লক্ষ্য করে। তবে কেউ জখম হননি। হিংসার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১,৭০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক কোডিয়ারি বালকৃষ্ণনের অভিযোগ, ‘‘কেরলে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে আরএসএস।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy