ছবি: পিটিআই।
তথ্যের অধিকার আইনে বর্ণিত ‘সরকারি কর্তৃপক্ষ’-এর মধ্যে পড়ে না ‘পিএম কেয়ারস’ তহবিলের অছি পরিষদ। ‘পিএম কেয়ারস’ নিয়ে তথ্যের অধিকার আইনে এক আর্জির জবাবে এ কথা জানাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
১ এপ্রিল এক আর্জিতে ‘পিএম কেয়ারস’ তহবিলের গঠন নিয়ে তথ্য চান বেঙ্গালুরুর আইন পড়ুয়া হর্ষ কান্ডুকুরি। সেই আর্জির জবাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ‘‘তথ্যের অধিকার আইনের ২ নম্বর ধারায় যে সরকারি কর্তৃপক্ষের কথা বলা হয়েছে পিএম কেয়ারস তহবিল তার মধ্যে পড়ে না। তবে এই তহবিল সংক্রান্ত তথ্য পিএমকেয়ারস.গভ.ইন ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।’’ আর্জিতে ওই তহবিলের অছি পরিষদ তৈরির দলিল এবং তহবিল সংক্রান্ত সব সরকারি বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশ চেয়েছিলেন হর্ষ। সেগুলি ওই ওয়েবসাইটে নেই।
তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে সরকারি কর্তৃপক্ষ হিসেবে ধরা হয়েছে সংবিধান মেনে তৈরি সংস্থা, সংসদে পাশ হওয়া আইন মেনে তৈরি সংস্থা, বিধানসভায় পাশ হওয়া আইন মেনে তৈরি সংস্থা এবং সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা নির্দেশ জারি করে তৈরি সংস্থাকে। সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন বা সরকারের খরচে পুষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও এর মধ্যে ধরা হয়েছে।
হর্ষ জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পিএম কেয়ারসের নাম, গঠন, সরকারি চিহ্নের ব্যবহার, সরকারি ডোমেনের ব্যবহার থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটা সরকারি কর্তৃপক্ষ। তথ্যের অধিকার আইনে একে সরকারি কর্তৃপক্ষের তকমা না দিয়ে স্বচ্ছতার ভাবনাকেই বড় ধাক্কা দিল সরকার।’’ তাঁর কথায়, ‘‘যে তহবিল চার জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৈরি ও পরিচালনা করছেন সেটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে? ওই তহবিলের সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: পরিযায়ীদের কাজের জায়গায় ফেরাতে ট্রেন
আরও পড়ুন: মোদী ২-এর বর্ষপূর্তিতে জুটল ফাঁপা ভরসাবার্তা
এর আগেও ‘পিএম কেয়ারস’ নিয়ে তথ্যের অধিকার আইনে আর্জি খারিজ করেছে সরকার। সুপ্রিম কোর্টও এই তহবিল গঠনের বিরুদ্ধে আর্জি খারিজ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy