ছবি: সংগৃহীত।
ত্রিপুরায় হাতির সংখ্যা ক্রমশ কমছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় ৪৫ থেকে ৫০টি হাতি রয়েছে। ২০০৮ সালে সর্বশেষ হাতিশুমারিতে ত্রিপুরায় হাতি ছিল ৫৯টি। বর্তমানে সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভীষণ চিন্তায় পড়েছে ত্রিপুরা বন দফতর। আগে বাংলাদেশ থেকে হাতি সীমান্ত ডিঙিয়ে ঢুকতে পারত। বর্তমানে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ফলেও হাতি আসতে পারছে না। তাই সংখ্যা কমে গেছে বলে জানান চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন ডি কে শর্মা। তবে, হাতির সংখ্যাবৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
শর্মা বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় এখন শুধু খোয়াই এবং গোমতী জেলায় বুনো হাতির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক হাতিশুমারি অনুযায়ী ত্রিপুরায় ৪৫ থেকে ৫০টি বুনো হাতি রয়েছে। দুই জেলায় ২২ থেকে ২৫টি হাতি রয়েছে।’’
শর্মার দাবি, ২০০২ সালের হাতিশুমারি অনুযায়ী ত্রিপুরায় তখন বুনো হাতির সংখ্যা ছিল ৩৮টি। ২০০৮ সালের সমীক্ষায় ত্রিপুরায় হাতির সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ৫৯টি। কিন্তু গত ১২ বছরে রাজ্যে হাতির সংখ্যা কমেছে।
হাতির সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়ে শর্মার যুক্তি, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থাকায় বাংলাদেশ থেকে হাতি ত্রিপুরায় আসতে পারে না। তাছাড়া দুই জেলায় বিভাজিত হয়ে যাওয়ায় তারা যৌনসঙ্গম করতে পারছে না। ফলে প্রজনন আগের অনুপাতে হচ্ছে না। তিনি বলেন, অতীতেও হাতির সংখ্যা কমেছে-বেড়েছে। কিন্তু, এখন শুধুই কমছে। বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় হাতির খাবারেরও অভাব হচ্ছে।
শর্মা জানান, হাতির খাবারের জোগান বাড়াতে বনে বিভিন্ন ফলের গাছ লাগানো হচ্ছে। হাতিকে নির্দিষ্ট এলাকায় রাখার চেষ্টা করছে বন দফতর। হাতির প্রজননের দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy